Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সাতক্ষীরায় সড়ক-মহাসড়কের করুণ হাল

| প্রকাশের সময় : ২ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিড়ম্বনা আর ভোগান্তিতে জনসাধারণ
আবদুল ওয়াজেদ কচি, সাতক্ষীরা থেকে : সড়ক-মহাসড়কের বেহাল দশায় সাতক্ষীরার বিশ লাখ মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। যা ভঙ্গ করেছে অতীতের সব রেকর্ড। অনুপযোগী সড়কে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে জেলার বিশ লক্ষাধিক মানুষ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপর আস্থা হারিয়েছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ও চলমান ভারী বর্ষণে সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ সড়ক, সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়ক, সাতক্ষীরা-খুলনা সড়কসহ সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রত্যেকটি অভ্যন্তরীণ সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সড়কগুলোর পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক সড়কের পিচ, খোয়া ও পাথর উঠে গিয়ে কাদা-মাটিতে পরিণত হয়েছে। আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে এসব সড়ক কোন দিন পাকাই ছিল না। এতে ভেঙে পড়েছে সাতক্ষীরার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। যা জেলার ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সকল সম্ভাবনা ও সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড ম্লান করে দিচ্ছে।
কালিগঞ্জের বাসিন্দা আব্দুল আজিজ জানান, গত এক দশক ধরে সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ভাঙা সড়কে চলতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। অকালে প্রাণ হারাচ্ছেন মানুষ। বাসে-মাহিন্দ্রায় চলতে গেলে মাজা থাকে না। এই সড়কে এক ঘণ্টা জার্নি করলে দুদিন রেস্টে থাকতে হয়।
আশাশুনির অনিল কুমার জানান, সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়ক দীর্ঘদিন সংস্কার করা হয় না। সাম্প্রতিক বর্ষণে সড়কের পিচ-খোয়া ধুয়ে গিয়ে কাদায় পরিণত হয়েছে। এতে চলাচল দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। কিন্তু দেখার কেউ নেই।
মুন্সীগঞ্জের বাসিন্দা ফজলুল হক জানান, সাতক্ষীরা-মুন্সীগঞ্জ সড়ক জেলার পর্যটন সম্ভাবনা বিকাশের প্রধান অন্তরায়। কিন্তু সড়ক সংস্কারে কোন উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। এতে সম্ভাবনাময় চিংড়ি শিল্পসহ পর্যটন শিল্প ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
সাতক্ষীরা পৌরসভার বাসিন্দা মাহিদা মিজান জানান, পৌরসভার একটি সড়কও ভাল নেই। প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও নাগরিক সেবা চতুর্থ শ্রেণির মতো। কিন্তু দেখবে কে?
নিরাপদ সড়ক চাই সাতক্ষীরা শাখার সাধারণ সম্পাদক মহিদার রহমান জানান, সাতক্ষীরায় সড়ক তো নয় যেন মৃত্যুপুরী। গত এক যুগ যাবত কোন সড়ক সংস্কার করা হয় না। এতে জনদুর্ভোগ আকাশ ছুয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ