Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

কেরানীগঞ্জের আমির ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

কেরানীগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ আগস্ট, ২০১৭, ১০:০৪ এএম

রানীগঞ্জের শিশু পরাগ অপহরণ মামলার প্রধান আসামি মোক্তার হোসেন ওরফে ল্যাংড়া আমির ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের মীরেরবাগ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে কথিত এই বন্দুকযুদ্ধ হয়।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও দুটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

আমিরের লাশ উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা-পুলিশ বলছে, ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

পুলিশ বলছে, আমিরের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিম এলাকায়। একসময় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পশ্চিমপাড়া এলাকায় জমির ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন। এরপর হাসনাবাদ এলাকায় আবাস গড়েন। ঠিকমতো হাঁটতে না পারার জন্য তাঁর নামের সঙ্গে ‘ল্যাংড়া’ শব্দটি জুড়ে দেয় এলাকাবাসী। তাঁর চলাচলের একমাত্র বাহন ছিল মোটরসাইকেল। সহযোগীরা মোটরসাইকেল চালাতেন, আর আমির পেছনে বসে থাকতেন।

২০১২ সালের ১১ নভেম্বর সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যার পশ্চিমপাড়ায় বাসার গলির মুখ থেকে মা, বোন ও গাড়িচালককে গুলি করে শিশু পরাগ মণ্ডলকে অপহরণ করে আলোচনায় আসেন আমির। এর আগেই অবশ্য তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়।

আমিরকে কেরানীগঞ্জের ত্রাস হিসেবে অভিহিত করে আসছিল পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন। কেরানীগঞ্জের কয়েকজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ইতিমধ্যে আমিরের হাতে গুলিবিদ্ধ হন।

পরাগ অপহরণের ঘটনার ১২ দিনের মাথায় ২০১২ সালের ২৩ নভেম্বর টঙ্গীতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের পর আমির নিহত হয়েছেন বলে মনে করেছিল পুলিশ। তাঁর নিহত হওয়ার খবর সংবাদমাধ্যমকেও জানানো হয়েছিল। কিন্তু হাসপাতালে আনার পর আমির বেঁচে ওঠেন। এই আমিরই গত বছরের ১১ আগস্ট ঢাকার আদালতের হাজতখানা থেকে পুলিশকে বোকা বানিয়ে পালিয়ে যান।
আমিরের গতিবিধি ভৌতিক আর কর্মকাণ্ড পৈশাচিক বলে জানিয়েছিল পুলিশ। এমনকি তিনি পুলিশকে মারারও হুমকি দিয়েছিলেন। তাঁর ভয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজের নিরাপত্তাও বাড়িয়েছিলেন।
পুলিশের কর্মকর্তারা বলেন, পুলিশের কাছ থেকে পালানোর পর চলতি বছরের মার্চ থেকে কেরানীগঞ্জ এলাকায় আবারও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেন আমির। গত ২২ মার্চ চিকিৎসক দম্পতি আবু নোমান ও শাহানা নোমানের রিকশা থামিয়ে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে চিরকুট দেন ল্যাংড়া আমির। চিরকুট দেওয়ার সময় গুলি ছুড়ে আহত করেন তাঁদের বহনকারী রিকশাচালককে। চলে যাওয়ার সময় বলেন, ২০ লাখ টাকা না দিলে পরের গুলিটা তাদের বুকে করা হবে। এরপর আতঙ্কে কেরানীগঞ্জ ছাড়েন ওই দম্পতি।
গত ২২ মে দিনদুপুরে জিয়ানগর এলাকায় ব্যবসায়ী নুরুল ইসলামের রিকশা থামিয়ে একই কায়দায় তার পায়ে গুলি করেন আমির। সর্বশেষ গত মাসে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় ব্যাবসায়ী শাহ আলমের বুকে গুলি করেন আমির।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ