Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কলারোয়ায় কর্মসৃজন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ১ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা : কলারোয়ার জালালাবাদ ইউনিয়নে কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে গত ২৬ জুলাই পৃথক ভাবে ৩৩ জন শ্রমিক স্বাক্ষরিত দুটি লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ সুুেত্র জানা গেছে, জালালাবাদ ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড বাটরা গ্রামের কর্মসৃজন প্রকল্পে ৪০ জন শ্রমিক রয়েছে। কিন্তু এরমধ্যে স্থানীয় নেতাদের আর্শিবাদ পুষ্ট ৭ জন শ্রমিক কোন কাজ না করে সরকারী টাকা গ্রহণ করে। সরকারী বিধি অনুযায়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তর থেকে প্রকল্পে কর্মরত শ্রসিকদের স্ব স্ব ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা দেওয়া হয়। শ্রমিকরা চেকের মাধ্যমে স্ব স্ব একাউণ্ট থেকে তাদের মুজুরীর টাকা গ্রহণের কথা। কিন্তু জালালাবাদ ইউনিয়নের ৭নং বাটরা ওয়ার্ডের সমস্ত শ্রমিকদের মাষ্টার রোল রুপালী ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়। ব্যাংক এই মাষ্টার রোল অনুযায়ী পে-অর্ডারের মাধ্যমে সমস্ত শ্রমিকদের টাকা এক সংগে প্রদান করে। চেয়ারম্যান বা মেম্বরের নিজস্ব শ্রমিকরা ব্যাংক থেকে এই উত্তোলন করে। এই টাকা নিয়ে পিছনে দাড়ানো ইউপি চেয়ারম্যান এবং মেম্বরের হাতে দেওয়া হয়।
এভাবে চেয়ারম্যান মেম্বররা টাকা কেটে নেওয়ার সুযোগ গ্রহণ করে। ৪০ দিনের কাজে ২’শ টাকা হারে মোট ৮ হাজার টাকা প্রাপ্য হলেও ১ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা রেখে বাকী ৭ হাজার টাকা পরিশোধ করার কথা। কিন্তু জালালাবাদ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এবং ৭,৮ও ৯ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বর নাজমা খাতুন শ্রমিকদের হাতে ৭ হাজার টাকার স্থলে ব্যক্তি বিশেষে ৫,৯০০ টাকা থেকে ৬,২০০ টাকা দিয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এব্যাপারে কথা বলার জন্য জালালাবাদ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মোবাইলে সংযোগ পাওয়া যায় নি।
জালালাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক মোসলেম আহমেদ ঘটনা সত্য বলে সাংবাদিকদের জানান। জালালাবাদ ছাড়াও কলারোয়ার আরো কয়েকটি ইউনিয়নে একই ভাবে কর্মসৃজনের অতি দরিদ্র জনগোষ্টির শ্রমের মুজুরী আত্মসাত করা হয়েছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সুত্রে জানা গেছে। রুপালী ব্যাংকের ম্যানেজার জানান, তিনি কলারোয়ায় যোগদানের আগে থেকে মাষ্টার রোলের মাধ্যমে কর্মসৃজনের টাকা প্রদান করা হচ্ছে। তিনিও একই ভাবে টাকা প্রদান করে আসছেন। এব্যাপারে টেলিফোনে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে যোগাযোগ করা হলে স্যার মিটিং আছেন বলে জানানো হয়।
হাতিয়ায় গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা
হাতিয়া (নোয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা : নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। নিহত গৃহবধূর বাড়ী সুখচর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের কাদির সর্দার গ্রামের ছালামত মার্কেটের পাশে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার গভীর রাতে তার নিজ বাড়ীর উঠানে। নিহতের নাম জেসমিন আকতার (৩৭)। গতকাল সোমবার দুপুরে গৃহবধূর গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে হাতিয়া থানা পুলিশ। নিহত জেসমিন আকতারের শরীরের ভিবিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে পারিবারিক ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়। নিহত জেসমিন আকতারের স্বামীর নাম মো: কবির উদ্দিন। সে চট্টগ্রাম সিএনজি চালক হিসেবে কাজ করে। ঘটনার রাতে সে চট্টগ্রামে অবস্থান করছিল বলে তার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়।
এলাবাসী ও ঘটনার বিবরণে জানা যায়, স্বামী কবির উদ্দিন কাজের কারনে চট্টগ্রাম থাকায় জেসমিন আকতার দুই সন্তান ফেন্সী বেগম (১৩) আরমান হোসেন (৭) কে নিয়ে বাড়ীতে থাকত। তার কন্যা সন্তান ফেন্সী জানায়, ওই দিন রাতে তারা মাকে সহ ঘুমাতে গেলেও ভোরে ফেন্সী ঘুম থেকে উঠে দেখে উঠানে মায়ের গলা কাটা লাশ পড়ে আছে। মায়ের এ অবস্থা দেখে ভাইবোনের চিৎকারে আশে পাশের লোকজন জড়ো হতে থাকে। খবর পেয়ে হাতিয়া থানা পুলিশ মৃত জেসমিন আকতারের লাশ উদ্ধার করে নোয়াখালী আব্দুল মালেক মেডিকের কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (তদন্ত) মোঃ জাকির হোসেন জানান, হত্যার ঘটনাটি পরিকল্পিত বলে মনে হলেও তদন্ত ছাড়া কিছু বলা যাচ্ছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ