Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

শৈলকুপার দলিল লেখক সমিতির নামে চাঁদাবাজি আদালতের তদন্তের নির্দেশ

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩১ জুলাই, ২০১৭, ৬:৫৯ পিএম

ঝিনাইদহের শৈলকূপা সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে দলিল লেখক সমিতির নামে গলাকাটা ফি আদয়ের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার সকালে ঝিনাইদহ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাকির হোসেন এই আদেশ দেন। মিস কেস ১৮/১৭ নং মামলার আদেশে বলা হয়েছে, জনৈক আমিন মন্ডল শৈলকূপা সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে নিবন্ধনহীন দলিল লেখক সমিতির নামে অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিবরণ দিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটি পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঝিনাইদহ কে তদন্ত করে আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ঝিনাইদহ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির মোঃ সোহেল রানা সত্যতা নিশ্চয় করে জানান, আদালতের আদেশের কপি ইতিমধ্যে ঝিনাইদহ পিবিআই অফিসে পাঠানো হয়েছে। এদিকে আদালতের এই নির্দেশ জারীর পর সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহ জেলা রেজিস্টার আব্দুল মালেক শৈলকূপা সাব রেজিস্ট্রি অফিস পরিদর্শনে গেছেন। উল্লেখ্য এর আগেও একবার ঝিনাইদহ ঝিনাইদহ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত শৈলকূপা দলিল লেখক সমিতির নামে চাঁদাবাজির সাথে জড়িত ব্যক্তিদের নাম ঠিকানা চেয়ে ঝিনাইদহ জেলা রেজিস্ট্রি অফিসকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু জেলা রেজিস্টার অফিস সে সময় অবৈধ সমিতির নেতাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে শৈলকুপায় কোন সমিতি নেই বলে আদালতে রিপোর্ট দেন। এলাকার সাধারণ কৃষকদের ভাষ্যমতে, শৈলকুপার বিজুলিয়া গ্রামের নান্নু মোল্লা সভাপতি, লক্ষ্মীপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান সাধারণ সম্পাদক ও রয়ড়া গ্রামের মিজানুর রহমান ক্যাশিয়ার সেজে দলিল লেখক সমিতির নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন। তাদের সাথে শৈলকুপার শিতালী গ্রামের আক্তারুজ্জামান ওরফে মনির খাঁ, বাগুটিয়া গ্রামের আহম্মেদ ও তোফাজ্জেল সহায়তা করেন। এরা সমিতির নামে জমি ক্রেতা বিক্রেতাদের কাছ থেকে সরকারী নির্ধারিত ফি’র বেশি টাকা হাতিয়ে নেন। অভিযোগ রয়েছে শৈলকূপা পৌরসভা এলাকায় প্রতি লাখে জমি রেজিস্ট্রির সরকারী ফি ১১ হাজার টাকা। কিন্তু সমিতির নামে আদায় করা হয় ১৪ হাজার টাকা। পৌরসভার বাইরে ১০ হাজার টাকা, আদায় করা হয় ১৩ হাজার টাকা। মুষ্টিমেয় কয়েকজন লোক অবৈধ সমিতি গঠন করে এই টাকা ভাগাভাগি করে নেন বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে দলিল খেক আব্দুল মান্নান বলেন, ইতিপর্বে আদালত থেকে আদেশ দেওয়ার পর আমরা আর সমিতি চালায় না। সমিতি এখন বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন আমাদের প্রতিপক্ষরা এই মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে। দলিল লেখক আক্তারুজ্জামান ওরফে মনির খা অভিযোগ খন্ডন করে বলেন, সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিদ্বেষ থেকে একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমাদের বিরুদ্ধে অপবাদ ছড়াচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ