Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

পদ্মা নদী ভাঙ্গনরোধে নির্মিত বাঁধে কাজ শেষ হওয়া এক মাসের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে ধ্বস দেখা দিয়েছে।

পাবনা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩১ জুলাই, ২০১৭, ৫:২৮ পিএম

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলাধীন সাঁড়া ইউনিয়নে পদ্মা নদী ভাঙ্গনরোধে নির্মিত বাঁধে কাজ শেষ হওয়া এক মাসের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে ধ্বস দেখা দিয়েছে।

জিও ব্যাগ ডাম্পিং না করা, নদীর পাড় থেকে বালি কেটে তা স্তূপ করে রাখায় বাঁধের প্রতিরোধক সিসিব্লকগুলো ধ্বসে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। র

এই বাঁধের ধ্বসের খবর শুনে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার ও সহকারী ভূমি কমিশনার (ম্যাজি:) শিমুল আক্তার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এই বাঁধ ধ্বসের খবরে জনমনে আতংক দেখা দিয়েছে। বন্যার পানি সমগ্র উপজেলা এবং ঈশ্বরদী শহরে প্রবেশ করার আশংকা রয়েছে। সূত্র মতে, ২০১৩ সালে নাটোর জেলার লালপুর এলাকার তিলকপুর থেকে গৌরীপুর পর্যন্ত এবং ঈশ্বরদীর পাকশী সাঁড়া ইউনিয়নের কোমরপুর থেকে সাঁড়াঝাউদিয়া রেলের গাইড বাঁধ পর্যন্ত পদ্মা নদী তীওে প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হয় । এই কাজে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়, ২২৬ কোটি টাকা ।

এ বছর ৩০ জুন নির্মাণ কাজ শেষ হয় । কিন্তু কাজ শেষের একমাস না যেতেই বাঁধে ধ্বস নেমে আসে। ঝাউদিয়া এলাকায় বাঁধের প্রায় ২০ ফুট এলাকা থেকে সিসি ব্লক ধ্বসে গেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ বাঁধের বিভিন্ন স্থান থেকে সিসি ব্লক সরে গিয়ে ধ্বস দেখা দিয়েছে। মানুষের মনে আতংক বিরাজ করছে। ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাংবাদিকেও বলেছেন, পরিদর্শনে তিনি বাঁধের কিছু অংশে ধ্বস দেখতে পেয়েছেন ।

পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডেও নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল করিম জানিয়েছেন, কাজে কোন প্রকার গাফলতি হয়নি। প্রচন্ড বৃষ্টিতে মাটি ও বালু সওে যাওয়ায় সিসি ব্লকের কিছু অংশ দেবে গেছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের মাধ্যমে তা ঠিক করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দু’একদিনের মধ্যেই এটা ঠিক হয়ে যাবে। আতংকিত হওয়ার কিছু নেই।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ