বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শেরপুরে পৃথক দুটি হত্যা মামলার রায় দিয়েছেন শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মুসলেহ উদ্দিন।
এরমধ্যে জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতিবান্ধা গ্রামে আপন শ্যালিকা চানবালাকে হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলায় ভগ্নিপতি রঞ্জিত চন্দ্র দাস (৪৭)কে মৃত্যু- এবং জমি সংক্রান্ত বিরোধে সদর উপজেলার নিজাম উদ্দিন হত্যা মালার রায়ে আবেদ আলী নামে একজনকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করা হয়। ৩১ জুলাই সোমবার দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে এ পৃথক দুটি রায় প্রদান করা হয়।
অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট ইমাম হোসেন ঠান্ডু জানান, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ধোপাগোছনা গ্রামের মৃত কেশব চন্দ্র দাসের পুত্র রঞ্জিত চন্দ্র দাস বিয়ের পর থেকে টানা ৪ বছর যাবত ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতিবান্ধা গ্রামস্থ শ্বশুর মনেন্দ্র দাসের বাড়িতে বসবাস করছিল। ২০১২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ল্যাট্রিন ব্যবহার নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে রঞ্জিত উত্তেজিত হয়ে একই বাড়িতে বসবাসকারী শ্যালিকা চানবালা রানী দাস (২৮) কে দা দিয়ে উপুর্যপরিভাবে কোপাতে থাকে।
ওই অবস্থায় বড়বোন সুমতি রানী দাস (৪৫) এগিয়ে গিয়ে চানবালাকে রক্ষার চেষ্টা করলে রঞ্জিত তাকেও কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। গুরুতর অবস্থায় দু’জনকেই জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করলে সন্ধ্যায় চানবালা মারা যায়। অন্যদিকে ঘটনার পরপরই এলাকাবাসী রঞ্জিতকে আটক করে পুলিশে তুলে দেয়। ওই ঘটনায় একইদিন চানবালার বাবা মনেন্দ্র দাস বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরদিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় রঞ্জিত। একই বছরের ২ মে রঞ্জিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ-পত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রফিকুল ইসলাম তালুকদার। বিচারিক পর্যায়ে বাদী, অপর জখমী, ম্যাজিস্ট্রেট ও চিকিৎসকসহ ৭ জন সাক্ষীর জবানবন্দি-জেরা গ্রহণ করা হয়। এ মামলায় স্টেট ডিফেন্স হিসেবে আসামী পক্ষে পরিচালনা করেন এডভোকেট শক্তিপদ পাল। এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন, রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি পিপি এডভোকেট ইমাম হোসেন ঠান্ডু।
অপরদিকে জমি সংক্রান্ত বিরোধে শেরপুর সদর উপজেলার পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামের নিজাম উদ্দিনকে প্রতিপক্ষ আবেদ আলীরা বিগত ২০০৯ সালের ১২ জানুয়ারী দেশী অস্ত্র দ্বারা কুপিয়ে আহাত করে। পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আবেদ আলীসহ মোট ৮জনকে আসামী করে মামলা করা হয়। পুলিশ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে আবেদ আলীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করে। দোষ প্রমানিত না হওয়ায় বাকী ৭ আসামীকে খালাস প্রদান করে আদালত।
এ রায়ে বাদী পক্ষ অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বলে জানান রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি পিপি এডভোকেট ইমাম হোসেন ঠান্ডু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।