বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পিরোজপুরে পাঁচ বছর আগে আলোচিত ফিরোজ মাঝি (২২) হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সোমবার পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দয়রা জজ জিল্লুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন সাহিনুর রহমান শানু মোল্লা, রেজাউল খাঁ ও মিজান বেপারী। তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
যাবজ্জীবন পাওয়া আসামিরা হলেন রেক্সোনা বেগম, নিজাম আকন, সুমন শেখ, ওমর ফারুক মিঠু, মামুন মাতব্বর, লিমন তালুকদার ও মো. রাসেল। তাঁদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।
এ মামলার দুই আসামি পলাতক রয়েছেন। বাকি আসামিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী খান মো. আলাউদ্দিন জানান,২০১২ সালের জানুয়ারিতে সদর উপজেলার ধুপপাশা এলাকায় ফিরোজ মাঝির বোন রিমি আক্তারের বিয়ে হয়। এর কয়েক দিন পর রিমিকে তার স্বামীর কাছ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে রেজাউল নামের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে দিতে ফিরোজ ও তার মা নাসিমা বেগমকে চাপ দেয় আসামিরা।
কিন্তু নাসিমা বেগম ও ফিরোজ বিষয়টি না মেনে নিলে তাদের সঙ্গে আসামিদের বিরোধের সৃষ্টি হয়।
এর পর ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল শিকদার মল্লিক এলাকায় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে গভীর রাতে বাড়ি ফিরছিলেন ফিরোজ মাঝি। পথে আসামিরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় ২০১২ সালের ৫ এপ্রিল ফিরোজ মাঝির মা নাসিমা বেগম বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে পিরোজপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ২০১২ সালের ১৪ জুলাই পিরোজপুর সদর থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) বাদল কৃষ্ণ দাস এ মামলার ১০ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।