বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিশেষ সংবাদদাতা, ময়মনসিংহ থেকে : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণায় জনগণ সফলতার সুফল ভোগ করতে শুরু করছে। এলজিইডি কতৃর্ক বৃহত্তর ময়মনসিংহে ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৩ হাজার কিলোমিটার রাস্তার কাজ ২য় পর্যায়ে অনুমোদনের অপেক্ষা রয়েছে। অতিশীগ্রই একনেকে প্রধানমন্ত্রী কতৃর্ক অনুমোদন লাভের পর বৃহত্তর ময়মনসিংহের ৬ জেলায় এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। এতেকরে হাজার হাজার জনগোষ্টির দীর্ঘদিনের জনভোগান্তির অবসান হবে।
জানাযায়, এলজিইডি কতৃর্ক জানাগেছে বৃহত্তর ময়মনসিংহের ময়মনসিংহ অঞ্চল পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প নামে দ্বিতীয় পর্যায়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কতৃর্ক গ্রাম বাংলার তৃণমূল পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী কতৃর্ক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এ প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামের কাঁচা রাস্তাগুলো পাকা করার জন্য এ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এপ্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রল্লী অঞ্চলের অবহেলিত অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে। গ্রামের হাজার হাজার জন গোষ্টি উন্নয়নের রুলমডেলের মহাসড়কে সংযোগ স্থাপিত হবে। বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের পল্লী উন্নয়ন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক, স.ম আব্দুস সালাম জানানিয়েছেন, খুবশিগ্রই প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন হলে প্রকল্পের কাজ দ্রæত শুরু হবে। তিনি বলেন, গ্রাম গঞ্জের কাঁদামাটির রাস্তাগুলো হবে পাকা প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণায় তারা আলোর ছোয়া পাবে। তাদেরকে আর কাঁচা রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হবে না।
উল্লেখ্য যে বৃহত্তর ময়মনসিংহের শত শত রাস্তা এখনও সামান্য বৃষ্টিতে কাঁদা মাটি গর্তের ফলে রিক্সা ব্যান যানবাহনতো দূরের কথা এই সব রাস্তা দিয়ে পায়ে হেটেও চলাচল করা যায় না। এমন পরিস্থিতে গিয়ে টেকে যে, হাটুর উপরে কাপড় উঠিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হয় জনসাধারনকে। সরকারের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এটি হবে সরকারের একটি সফল প্রকল্প।
এদিকে এলজিইডির ময়মনসিংহের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোশাররফ হোসেন জানান ময়মনসিংহ জেলায় এ প্রকল্পের আওতায় ৩ শত কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকা হবে। এতে করে যোগাযোগ ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে। জনদুর্ভোগ ও ভোগান্তি কমবে রাস্তাগুলো পাকা হলে। এ প্রকল্পের আওতায় ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, শেরপুর, জামালপুর, টাঙ্গাঈল ও কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ইতি মধ্যে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে। বৃহত্তর ময়মনসিংহে প্রথম পর্যায়ে ১ শত কোটি টাকা ব্যয়ে ২ শত কিলোমিটার রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে ছোট বড় বীজ ও খালভাটের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ায় রাস্তার রাস্তাগুলোর আয়ু বেড়ে গেছে। ইতিমধ্যে ধোবাউড়া হেড কোয়াটার হতে কলসিন্দুর হয়ে চিনা মাটির এলাকায় প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তা চলমান থাকায় ৫০ বছরের জন গণের দাবি বাস্তবায়িত হয়েছে। এতে ব্যয় হচ্ছে ৮ কোটি টাকা। ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮০ মিটার দীর্ঘ ধানীখোলায় আর সিসি গাডার ব্রীজ নির্মাণ কাজ চলছে এ ব্রীজটি নির্মিত হওয়ায় অর্ধশত বছরের ভোগান্তির অবসান হবে ঐ সব অঞ্চলের জনগণের।
এছাড়া বৃহত্তর ময়মনসিংহের জন্য আরো দশ হাজার কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকা করা প্রয়োজন। গ্রাম গঞ্জের জনগণ উৎপাদিত কৃষি পণ্য রাজধানীসহ দেশের বাইরে এবং বড় বড় বাজার গুলোতে পরিবহন করতে পারছে না। ফলে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য পানির দরে বিক্রি করছে। তন্মমধ্যে ফুলবাড়ীয়া, ধোবাউড়া, ত্রিশাল, ভালুকা, ময়মনসিংহ সদরের চরাঞ্চল, গফরওগা, হালুয়াঘাট সহ ১৪ টি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক ছাড়া বাকী সিংহভাগ রাস্তাই কাচাঁ। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে বৃহত্তর ময়মনসিংহের ৬ জেলায় প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকা করলে গ্রাম গঞ্জের অবহেলিত কৃষকদের চলাচলের ক্ষেত্রে যোগান্তকারী প্রদক্ষেপ হবে। সরকারের এসব প্রকল্পের মাধ্যমে কাঁচা রাস্তাগুলো প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারের জরুরী হস্থক্ষেপ প্রয়োজন বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।