Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দামুড়হুদায় কমলালেবু বাগানে একানি চাষে সাফল্য

| প্রকাশের সময় : ৩১ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নূরুল আলম বাকু, দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) থেকে : দামুড়হুদা উপজেলায় প্রথমবারের মতো এ অঞ্চলের নুতন ফসল কমলা চাষ শুরু হয়েছে। সেইসাথে একই জমিতে কমলা গাছের ফাঁকে ফাঁকে সাথী ফসল হিসাবে চাষ করা হচ্ছে ঔষধি ফসল একানির। দামুড়হুদায় প্রথম এ কমলা ও সাথী ফসল একানির চাষ শুরু করেছেন উপজেলা সদরের দশমি পাড়ার মৃত মসলেম মন্ডলের ছেলে আক্তার আলী। গতবছর এই সময় তিনি তার ২বিঘা জমিতে কমলা লেবুর চারা লাগিয়েছিলেন। সেইসাথে এ বছর ওই কমলালেবু বাগানের সাথী ফসল হিসাবে একানি চাষ শুরু করেছেন। অনুকুল আবহাওয়াসহ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এই চাষে তিনি ভালো লাভবান হবেন বলে আশা করছেন।
কমলা চাষী আক্তার আলি জানান, গত বছর এই সময় তিনি জেলার জীবননগর থেকে প্রতিটি ৫০ টাকা হিসাবে ১৬০টি কমলালেবুর কলমের চারা কিনে এনে ২বিঘা জমিতে লাগান। ঐ বছরই প্রায় সব চারাগাছেই প্রচুর ফুল আসে। নুতন চারাগাছে ফল ধরলে গাছ দুর্বল হয়ে যাবে ভেবে সমস্ত গাছের ফুল ভেঙ্গে দেই। এবার গাছে ফুল আসার সময় হয়েছে। এবার ফুল আসলে আর ভেঙ্গে দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। এই গাছ আ¤্রপালি আম গাছের মত বড় হয়ে থাকে। তিনি আরোও জানান, প্রতিটি কমলা গাছে একেক বারে প্রায় দুই থেকে আড়াইশ’ ফল হয়ে থাকে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আগামী বছর সর্বনি¤œ দরে বিক্রি হলেও প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকার কমলা বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি। এছাড়া কমলার চারা এখনও ছোট থাকায় এবার সাথী ফসল হিসাবে একানি চাষ করেছি। বর্ষজীবি এ ঔষধি ফসল একানি ব্যয়বহুল চাষ হলেও একই জমিতে প্রায় একই খরচে ২টি ফসল হচ্ছে। কমলার পাশাপাশি একানির চারাও খুব ভালো হয়েছে। কমলা বাগানের এ ২ বিঘা জমির সাথীফসল একানি চাষের শুরু থেকে ফসল উঠা পর্যন্ত লাঙ্গল, বীজ, সার, সেচ, কীটনাশক ও লেবার দিয়ে প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার মত খরচ হবে।
ফলন ভালো হলে একানি বিঘাপ্রতি ৭৫ থেকে ৮৫ মন পর্যন্ত ফলন হয়ে থাকে। গত বছরের উঠতি মৌশুমে একানির দর ছিল মনপ্রতি ৪ হাজার টাকা। সে হিসাবে চলতি মৌসুমে যদি একই রকম দাম থাকে আর ২ বিঘা জমিতে ১৫০ মন একানিও উৎপন্ন হয় তবে ১বছরের ফসলে প্রায় ৬ লক্ষ টাকার একানি উৎপাদন হবে। এতে খরচ-খরচা বাদ দিয়ে তার প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকা লাভ হবে বলে আশা করছেন।
দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুফি মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান জানান, উপজেলার হাউলির মাঠে দামুড়হুদার আক্তার আলী একই জমিতে কমলা ও একানির চাষ করেছেন। তাতে আমাদের সহযোগিতা রয়েছে ও থাকবে। তিনি যদি এ কমলা বাগানের সঠিক পরিচর্যা করেন তাহলে তিনি এই চাষে লাভবান হবেন। তবে প্রথম ২/১ বছর কমলার ফলন ও সাইজ ভাল হলেও খুব একটা সু-স্বাদু হবে না, একটু টক হতে পারে। তবে ২/১ বছর পরে হয়তো কিছুটা মিষ্টি হতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ