পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ঢাকা-ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অধিকার মতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার আট বছর আগে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে ৩শ’ ২০ জনেরও বেশি মানুষ অবৈধভাবে আটক বা নিখোঁজ হয়ে গেছে। বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন র্যাব বা ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সাদা পোশাকধারী সদস্যরা তাদের বাড়ি বা রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গেছে। এদের মধ্যে সন্দেহভাজন অপরাধী ও ইসলামপন্থী জঙ্গিরা থাকলেও বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক কর্মীদের সংখ্যাই বেশি। গত ২৮ জুলাই শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের এক সম্পাদকীয়তে এ কথা বলা হয়েছে।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, অধিকারের মতে, গত বছর গুম হয়ে যাওয়াদের মধ্যে ২১ জন নিহত হয়েছে এবং ৯ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে যাদের মধ্যে আছেন বিরোধী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীর আইনজীবী মীর আহমেদ বিন কাসেম। তার স্ত্রী, বোন ও দুই ছোট মেয়ে গত আগস্টে জনাব কাসেমকে তার বাড়ি থেকে যেসব লোককে তুলে নিয়ে দেখেছেন তারা অস্বীকার করেছেন। তখন থেকে জনাব কাসেমকে আর দেখা যায়নি।
এ প্রবণতা লক্ষ্য করে জাতিসংঘ গত ফেব্রæয়ারীতে বাংলাদেশকে বর্ধিত হারে গুমের ঘটনা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেবার আহŸান জানিয়েছিল। কিন্তু গুম হয়ে যাবার গতি কমেনি, বরং তা আরো বাড়তে দেখা যাচ্ছে।
গুম হওয়ার ব্যাপারে সরকারের নিষ্ক্রিয়তার কড়া সমালোচনা করে সম্পাদকীয়তে বলা হয়, অভিযোগকারীদের অভিযোগ নির্দয়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে গুমের তামাশাপূর্ণ জবাব দিচ্ছে হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। দেশটি যখন সন্ত্রাস প্রতিরোধে লড়ছে তখন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে চরম আস্থার সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক ও বাংলাদেশের আইনের সঙ্গে এক ধরনের তামাশা ছাড়া কিছুই না।
যখন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই মাসে গুমের বিষয়ে একটি সুশৃঙ্খল নথিভুক্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে, তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ‘এই সংগঠনটি আমাদের বিরুদ্ধে একটি অভিযান শুরু করেছে’।
‘আপনি কাকে গুম বলবেন?’ জনাব খান বলেন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের দুশ্চিন্তাগ্রস্ত প্রিয়জনদের অপমান করে, যারা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ বা তাদের আদালতের কাছ থেকে তার কর্ম সম্পর্কে কোন উত্তর পায় না, তিনি আরো বলেন, ‘অনেক ব্যবসায়ী এই দেশে ঋণ ফেরত দিতে ব্যর্থ হয়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন। কিছু ব্যক্তি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে তোলার পর নিখোঁজ হয়ে গেছেন’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।