Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গুম হওয়া মানুষের স্বজনদের কান্না শোনার যেন কেউ নেই

| প্রকাশের সময় : ৬ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : গুম হওয়া মানুষের স্বজনদের নীরব কান্না শোনার যেন কেউ নেই। রাষ্ট্র সরকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কারো কর্ণ কুহরে যেন এদের কান্নার শব্দ প্রবেশ করেনি। হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলোর স্বজনেরা জানতেও পারেননি তারা এখন জীবিত নাকি মৃত্যু। পিতার অপেক্ষায় তার সন্তান, স্বামীর অপেক্ষায় স্ত্রী, সন্তানের অপেক্ষায় মা-বাবা। এ অপেক্ষার যেন শেষ নেই। বুক ভরা বেদনা নিয়ে অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় আছেন নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনেরা। মা-বাবা, ভাই-বোন, সন্তান, কারো স্ত্রী তাকিয়ে থাকেন দরজার দিকে। হয়তো কখনো কেউ ফিরে এসে দরজার ওপার থেকে ডাক দেবে প্রিয় নাম ধরে। কিন্তু সেই অলৌকিক ঘটনাটি আর ঘটে না। অপেক্ষার রাত পেরিয়ে ভোর হয়, ফিরে আসে না প্রিয়জন। এভাবেই অপেক্ষার প্রহর কাঠাতে হচ্ছে স্বজনদের। তারা আদৌও জানেন না, তাদের প্রিয় মানুষটি জীবিত নাকি মৃত্যু। রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য একাধিক বাহিনী আছে। কেউ খোঁজ দিতে পারেনি। দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের দরজায় দরজায় ঘুরেছেন গুম হয়ে যাওয়া এই মানুষগুলোর স্বজনরা। পাওয়া যায়নি হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলোকে। শুধু পরিবারগুলো ভেসেছে চোখের পানিতে। কোনো পরিবার হারিয়েছে পরিবারের উপার্জনক্ষম মানুষকে। কোনো পরিবারের স্বপ্ন ছিল যাকে ঘিরে, সেই মানুষটিই গুম হয়ে গেছে। কোনো পরিবারে শিশুসন্তান খুঁজে বেড়ায় তার হারিয়ে যাওয়া বাবাকে। কোনো মা আছেন সন্তানের অপেক্ষায়। স্বজন হারানো এই পরিবারগুলোর কান্না ও দীর্ঘশ্বাস কি কারো কারো জন্য অভিশাপে রূপ নিচ্ছে। হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলোর স্বজনদের প্রশ্ন কোথায় গেল তারা। তাদের মেরে ফেলা হলে লাশটা অন্তত ফেরৎ দেয়া হোক এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন তাদের স্বজনেরা।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলেরও অনেক নেতা-কর্মী বিভিন্ন সময়ে গুম-অপহরণের শিকার হয়েছেন। তাদেরও অনেকের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। ক্রমেই বেড়ে চলেছে গুম-অপহরণের ধরন ও পরিধি। নাগরিক জীবনে তৈরি হয়েছে এক চরম অনিশ্চয়তা। সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্রমেই বাড়ছে নিরাপত্তাজনিত আতঙ্ক।
বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট-২ আসনের সাবেক এমপি এম ইলিয়াস আলীর মা সুর্যবান বিবি গতকাল বলেছেন, আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দেন। মেরে ফেললে তার লাশটা হলেও ফেরৎ দেন। সরকার আমার ছেলেকে ফেরৎ দিবে এমন আসায় অপেক্ষার প্রহর গুণছেন ইলিয়াসের মমতাময়ী মা। তার মতে আরো অনেকেই মনে করেন তাদের প্রিয় মানুষটিকে হয়তো একদিন ফিরে পাবেন। তারা প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সকলের কাছে দাবী জানিয়েছেন নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান দেয়ার জন্য।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ২০১৩ সালের নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে কমপক্ষে ২০ জনকে রাজধানী ও সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকা থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই থেকে পরিবারগুলো সরকারের মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছে। পুলিশ, র‌্যাব, ডিবিমোসবার কার্যালয়ে গিয়ে ধরনা দিয়েছে। প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে। গুম হওয়া ব্যক্তিদের বেশিরভাগই বিএনপি বা ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
গত রোববার সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিতে গিয়ে স্বজনদের সবাই কেঁদেছেন। কেউ কেউ কোনো কথাই বলতে পারেননি। গুম হওয়া ব্যক্তিদের ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী চারটি শিশুসন্তানও সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন। নিখোঁজ এম এ আদনান চৌধুরীর বাবা রুহুল আমিন গতবারই অনেক অসুস্থ ছিলেন। এ বছর আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ঠিকমতো হাঁটতে পারেন না, দৃষ্টিও কমে আসছে। কথা বলতে গিয়ে দাঁড়িয়েই কাঁদলেন অঝোরে। তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরের শীতের এক গভীর রাতে ছেলেটাকে দিয়ে যাবে বলে বাসা থেকে ধরে নিয়ে গেল। সেই ছেলে আর ফিরল না। ছেলে আমার কোথায় আছে, সেই খোঁজ নেই; বেঁচে আছে কি মরে গেছে, তা-ও জানি না।’ প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনি তো সবার খবর রাখেন। আমাদের দয়া করে বলুন, আমাদের ছেলেদের ভাগ্যে কী ঘটেছে।’
গুম হওয়া মাজহারুল ইসলামের ভাই মশিউর রহমান বলেন, ‘আমরা শুধু ভাইকেই হারাইনি। আমাদের পুরো পরিবারের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য আর আনন্দ হারিয়ে গেছে চিরতরে। আমাদের বাবা-মা ছেলে হারিয়েছেন। মা এখনো গভীর রাতে দরজা খুলে দাঁড়িয়ে থাকেন ছেলে আসবে বলে। বৃষ্টি হলে মায়ের দুশ্চিন্তা হয়, ছেলে ভিজে গেল কি না। ভাইয়ের শোকে আমার বাবা-মায়ের অবস্থা এখন ভালো না।’
গুম হওয়া সবুজবাগ থানা ছাত্রদলের সভাপতি মাহাবুব হাসানের ভাই জাহিদ খান বলেন, ‘একেকটা গুম হওয়া পরিবারের কী কষ্ট, তা অন্য কেউ ভাবতেও পারবে না। আমরা খারাপ শঙ্কাটাও করতে পারি না, আবার ভালো কিছু আশাও করা যায় না। একেকটা দিন যে কী দুঃসহ! কারও পরিবারের কেউ গুম হলে পুরো পরিবারটিই দুর্বল হয়ে যায়। আত্মীয়-স্বজনকেও আর পাশে পাওয়া যায় না। তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীন দেশে আমাদের করের টাকায় চলা বাহিনীগুলো আমাদের ভাইদের গুম করলে আমরা কার কাছে যাব বিচার চাইতে? এটা কেমন গণতন্ত্র? জাহিদ বলেন, চার বছর আর আট বছরের দুটি সন্তান নিয়ে মাহাবুবের স্ত্রী এখন টিকে থাকার যুদ্ধ করে যাচ্ছেন। মাহাবুব গুম হলেও তাঁর পুরোনো রাজনৈতিক মামলাগুলো এখনো সচল। প্রতি দুই মাসে অন্তত একবার পুলিশ বাসায় আসছে, এ নিয়েও সবাই আতঙ্কে থাকে। একবার মালপত্র ক্রোক করতেও এসেছিল। মাহাবুবের নিজের কোনো সম্পত্তি না থাকায় পুলিশ ফিরে গেছে।
শুধু চঞ্চল কিংবা গুম হওয়া বাকি ১৯ জন ছাড়াও অনেককে গত তিন বছর আগে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদের পরিবাররা এখনো স্বজনদের ঘরে ফেরার অপেক্ষা আছে। তারা এও জানে না গুম হওয়ার পর তারা বেঁচে আছেন কি না।
এর আগে গুম হয়ে যাওয়া অনেকের বাবা কিংবা মা মারা গেছেন। গুম হয়ে যাওয়া বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলামের মা হাজেরা খাতুন বলেন, আমার স্বামী মারা গেছেন। ছেলে নিখোঁজ, আমি জানি না সে বেঁচে আছে কি না, আমার মৃত্যুর আগে তার খোঁজ চাই, আমার ছেলেকে ফেরত চাই।
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে চট্টগ্রামের শিপ ব্রেকিং ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন কুসুমকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় গত বছরের ৩ জুলাই। তার স্ত্রী আফসানা নূর জুলি বলেন, প্রায় দেড় বছর পরেও তার স্বামীর কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। কেউ তাদের কাছে চাঁদাও দাবি করেনি। এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেছেন তিনি।
চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ের গজনী গ্রাম থেকে কলেজছাত্র প্রভাত মারাক, বিভাস সাংমা ও ওরাজেস মারাককে ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন পর্যন্ত এই তিন ছাত্রের কোনো হদিস মেলেনি বলে তাদের পরিবার জানিয়েছে।
গত বছরের ১৫ জানুয়ারি রংপুরের মিঠাপুকুর থেকে দলিল লেখক আমিন, আমিনের স্ত্রী বিউটি ও প্রতিবেশী মৌসুমী এবং ৩১ জানুয়ারি মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের একটি বাসা থেকে মিঠাপুকুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত মারজানকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার  ১ বছর ১১ মাস পরেও এই চারজনের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। আত্মীয়-স্বজন ঢাকায় ও রংপুরে একাধিক সংবাদ সম্মেলন করে স্বজনদের ফিরে পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। র‌্যাব-পুলিশও তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে।
গত বছরের ১৬ মার্চ ফকিরেরপুলের বাসা থেকে ছাপাখানা ব্যবসায়ী মাজহারুল ইসলাম রুবেলকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে তুলে নেয়া হয়। এর ৪ দিন পর ২০ মার্চ ফকিরেরপুল পানির ট্যাংকের কাছ থেকে ছাপাখানা কর্মচারী রাজু ইসলাম ও শাওনকে একইভাবে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাজুর স্ত্রী রুমানা বলেন, ‘এখনও আমার স্বামীকে ফেরত পাইনি, তার কোনো খোঁজও পাওয়া যাচ্ছে না।’ রুমানার দাবি, ডিবি বলছেÑ তারা ধরে নিয়ে যায়নি। একইভাবে সন্ধান মেলেনি শাওন ও রাজুর।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এবং গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের থেকে পাওয়া তথ্য ২০১৩ সাল থেকে চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ২৩৫ জন ব্যক্তি গুম হয়েছেন। তাদের ১৫২ জনের এখন পর্যন্ত হদিস পাওয়া যায়নি। মানবাধিকার সংস্থার তথ্য মতে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে গত ৩১ নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ বছরে ২৩৫ জন গুম হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। তন্মধ্যে ৩৯ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। ৩৪ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে এবং ২০ জন বিভিন্ন সময়ে মুক্তি পেয়েছেন। বাকি ১৫২ জনের কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। গুম হওয়া মানুষের পরিবারগুলোর নীরব কান্না থেমে নেই।
এদিকে মানবাধিকার সংস্থাÑ আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে ৫৩ জন, ২০১৪ সালে ৮৮ জন ও ২০১৫ সালে ৫৫ জন গুম হয়েছে। এই ১৯৬ জনের মধ্যে লাশ উদ্ধার হয়েছে ৩৬ জনের। গ্রেফতার দেখানো হয়েছে ১২ জনকে ও মুক্তি পেয়েছেন ১৯ জন।
মানবাধিকার সংস্থা- অধিকারের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৩ সালে ৫৩ জন, ২০১৪ সালে ৩৯ জন, ২০১৫ সালে ৩৮ জন ও চলতি বছরের ১১ মাসে ৩২ জন গুম হয়েছেন। তাদের মধ্যে লাশ পাওয়া গেছে ২৩ জনের। ফিরে এসেছেন ৬৩ জন ও ৬৭ জনের কোনো হদিস মেলেনি। অধিকারের হিসাবে চলতি বছরের ১১ মাসের মধ্যে গুম হওয়া ৩২ জনের মধ্যে ৫ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। ৫ জনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং ফিরে এসেছেন একজন। বাতিলদের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক নূর খান বলেন, পাঁচ-ছয় বছর ধরে গুমের ঘটনা অস্বাভাবিক মাত্রা পেয়েছে। এর মধ্যে গুমের শিকার পরিবারগুলো এবং যাঁরা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, তাঁদের কাছ থেকে একই রকম বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। তাদের যে বর্ণনা, তাতে সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে এ ঘটনার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংশ্লিষ্টতা আছে। নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনা প্রমাণ করে, এ ধরনের গুমের ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে। রাষ্ট্র এর দায় এড়াতে পারে না।
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গতকাল বলেছেন, ‘গুম বলে কোনো শব্দ নেই। গুম বলে আমাদের কোনো কিছু জানা নেই। যারা গুম রয়েছেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে, তারা বিভিন্ন কারণে আত্মগোপনে রয়েছেন। আমরা অতীতে দেখেছি, তাদের অনেকেই ফিরে এসেছেন।’ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে আয়োজিত এক আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয় মাসে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে ৭৫ জনকে ধরে আনার অভিযোগের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৮ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে, ৩ জনকে পরে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, ১৮ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অন্যদের খোঁজ নেই। ২০১৫ সালে গুম হন ৫৫ জন। পরে তাদের ৭ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়, ৫ জন ফিরে আসেন, লাশ উদ্ধার হয় ৮ জনের। ২০১৪ সালে গুম হন ৮৮ জন। তাদের ২৩ জনের লাশ উদ্ধার হয়, ১২ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়, গ্রেফতার দেখানো হয় ১ জনকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গুম

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ