Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কালীগঞ্জ মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রি কলেজে অধ্যক্ষের চেয়ার দখল

| প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আইন ভঙ্গ করে ৩ বছর ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল পদে মজিদ মন্ডল
প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক আদেশ অমান্যের অভিযোগ
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা ঃ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রী কলেজে তিন বছর ধরে অধ্যক্ষের চেয়ার দখল করে আছেন ভাইস প্রিন্সিপাল আব্দুল মজিদ মন্ডল। এ নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক আদেশ নির্দেশই কেয়ার করছেন না। এদিকে অবৈধ ভাবে তার এই চেয়ার দখল ও একের পর এক সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করার কারণে মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রী কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান ও ইতিহাস বিভাগের ১৪ জন শিক্ষকের কপাল পুড়তে বসেছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১৪ শিক্ষকের অধিভুক্তির শর্ত হিসেবে কলেজের বৈধ প্রিন্সিপাল ড. মাহবুবুর রহমানকে পুর্নবাহালের নির্দেশ দিয়েছেন। গত ১০ জুলাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক ড. মোঃ মনিরুজ্জামান ৩৩৯৬৯ নং স্মারকে শর্তারোপ করে এই চিঠি পাঠান। এর আগে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (কলেজ-৩) মোঃ হেলাল উদ্দীন মাহামান্য হাই কোর্টের রিট পিটিশন নং ৮২৬১/২০১৫ এর রায় বাস্তবায়নের জন্য ৯১৪৩ (৬) নাং স্মারকে প্রিন্সিপাল ড. মাহবুবুর রহমানকে পুর্নবাহাল করতে চিঠি দেন। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নাছিমা খানম ৭৯৩ নং স্মারক ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৭ ওয়াহিদা মুসাররত অনীতা ৪৮৪ (৪) নং স্মারকে প্রিন্সিপালড. মাহবুবুর রহমানের প্রতি ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে চিঠি পাঠালেও তাতে সাড়া দেননি ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালমজিদ মন্ডল। তিনি প্রভাব ও অবৈধ ক্ষমতা জাহির করতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৯২ এর ২৪ (ঢ) ও ২৬ (৩) ধারা ভঙ্গ করে চলেছেন।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে ভুল বুঝিয়ে প্রিন্সিপাল ড. মাহবুবুর রহমানকে চুড়ান্ত বরখাস্ত করার জন্য চিঠি দেওয়া হয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যায়ে। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষের পাঠানো সেই চিঠি আমলে নেয়নি জাবি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যায়ের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর ড. মোঃ শামসুদ্দীন ইলিয়াস ৩৩২৪৯ নং স্মারকে পাল্টা চিঠিতে কলেজ সভাপতিকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন প্রিন্সিপাল ড. মাহবুবুর রহমানকে প্রিন্সিপালপদ থেকে বরখাস্তকরণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা গেল না।
এদিকে, অভিযোগ রয়েছে এই তিন বছরে আব্দুল মজিদ মন্ডল নিয়োগসহ অনেক গুরুত্বপুর্ণ কাগজে সাক্ষর করেছেন। এ সব নিয়োগ ভবিষ্যতে বাতিল হওয়ার সম্ভবাবনা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর মোঃ নোমান উর রশিদ জানান, সাময়িক বরখাস্তকৃত প্রিন্সিপাল ড. মাহবুবুর রহমানের দাখিলকৃত আবেদন নিস্পত্তি কল্পে তার লিখিত বক্তব্য ও ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালআব্দুল মজিদ মন্ডলের লিখিত বক্তব্য পর্যালোচনা করে ড. মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমানিত হয়নি। তাই তাকে স্বপদে পুনর্বহাল করার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে বলেছেন। এ বিষয়ে তিন বছর ভারপ্রাপ্ত থাকা ভাইস প্রিন্সিপাল আব্দুল মজিদ মন্ডল বলেন, আমি তো ইচ্ছাকৃত ভাবে এই পদে নেই, কমিটি আমাকে রেখেছে। তিনি বলে প্রথমে ছয় মাস ও পরে ফাইন দিয়ে ৬ মাস থাকা যাবে। তারপর এক বছরের বেশি থাকতে হলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন লাগে। আমরা সেটি পাঠিয়েছি। তিনি বলেন উচ্চ আদালতে মামলা থাকায় ড. মাহবুবুর রহমানকে আমরা যোগদান করতে দিতে পারছিনা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ