Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভবদহের স্থায়ী সমাধান ও মানবিক বিপর্যয় রোধের দাবিতে সংগ্রাম কমিটির কর্মসূচি ঘোষণা

| প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা,যশোর ব্যুরো : ভবদহ সমস্যার স্থায়ী সমাধান, মানবিক বিপর্যয়রোধ, টিআর চালুসহ ৫দফা দাবি আদায়ে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দ গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে কর্মসূচী ঘোষণা করেছে। তারা পানিসম্পদমন্ত্রীর প্রতিশ্রæতি বাস্তবায়ন না হওয়া, নদী থাল দখল করে মাছের ঘের করায় পানি প্রবাহ বিঘিনত হওয়া, সময়মতো টিআর চালু ও খননে দুর্নীতিসহ নানা কারণে ভবদহ সমস্যা ভয়াবহ হয়েছে। বলা হয়, ‹জলাবদ্ধ তিন উপজেলার ১শ’৫০টির মতো গ্রাম, বাজারঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ফসল ও মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। এলাকার লক্ষাধিক মানুষ এখন পানিবন্দি। সরকার প্রশাসন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড এখনো যদি সজাগ ও সতর্ক না হয়, তাহলে ভবদহে আগের মতো দীর্ঘমেয়াদের বিপর্যয় দেখা দেবে।
প্রেসক্লাব যশোরে শনিবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, যশোরের অভয়নগর, কেশবপুর ও মণিরামপুর এলাকায় মানবিক বিপর্যয় রোধে খাদ্য নিরাপত্তা, চিকিৎসা, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন, বিলকপালিয়ায় টিআরএম (টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট/জোয়ারাধার) বাস্তবায়ন, আমডাঙ্গা খাল সংস্কার, ভবদহ ¯øুইস গেটের ২১ ও ৯ ভোন্টের মাঝ দিয়ে সরাসরি নদী সংযোগ, হরিহর, আপারভদ্রা ও বুড়িভদ্রায় জরুরি ভিত্তিতে পলি অপসারণ, সব খাল পুনরুদ্ধার ও অবমুক্ত, পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধক পাটা, জাল, শেওলা অপসারণসহ পাঁচ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানান। এসব দাবিতে তারা কর্মসূচী ঘোষনা করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ১আগস্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর জরুরী হস্তক্ষেপ কামনায় স্মারকলিপি প্রদান এবং সভা সমাবেশ অব্যাহত রাখা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবীর জাহিদ। নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাবু রনজিৎ বাওয়ালী, বৈকুণ্ঠ বিহারী রায়, গাজী আব্দুল হামিদ,আবুু বক্কর সিদ্দিকী,অনিল বিশ্বাস, ও জিল্লুর রহমান ভিটু। ইকবাল কবীর জাহিদ জানান, বিল খুকশিয়ার টিআরএম এর মেয়াদ শেষে বিল কপালিয়ায় টিআরএম প্রকল্প গৃহীত হয়। সেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ২০১২ সালের ২ জুন তৎকালীন হুইপসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তখন এলাকার লোকজনের আপত্তির ওজুহাত তুলে সরকার প্রকল্প বাতিল করে। সরকারের এ সিদ্ধান্ত জনপদের জন্য সমূহ ক্ষতির কারণ হয়েছে।
তিনি বলেন, গত ১৬ মার্চ যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতার দীর্ঘমেয়াদী সমাধানকল্পে এক জাতীয় কর্মশালায় পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল হক মাহমুদের উপস্থিতিতে পুনরায় টিআরএম করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্ত আজও সে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়নি।
নেতৃবৃন্দ জানান, পানিবদ্ধতার সাথে মরার ওপর খাড়ার ঘা হচ্ছে অপরিকল্পিত ঘের। নতুন নতুন ঘের ব্যবসা চলেছে ভবদহ এলাকায়। তারা খাল দখল করছেন, খাসজমি আত্মসাৎ করছেন। পানির স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করছেন। মুষ্টিমেয় নেটপাটাওয়ালাদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। ভবদহ অঞ্চলের বর্তমান পানিবদ্ধতার জন্য অতিবৃষ্টি দায়ী নয়। নদীর স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা সৃষ্টি না হলে জলাবদ্ধতা ঘটার কারণ ছিল না। আবার স্বাভাবিক প্রবাহ অক্ষুণœ থাকলে নদীর গভীরতাও অক্ষুণœ থাকত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ