পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও সরাইলে পুলিশের সঙ্গে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে দুই যুবক নিহত হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার থেকে ৩টার মধ্যে এই পৃথক বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত দুজন হলেন ইউসুফ মিয়া (২৭) ও রুকন মিয়া ওরফে শবদালী (৩৭)। ইউসুফ মিয়ার বাড়ি উপজেলার কুটি ইউনিয়নের মাইজখার গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। রুকন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের সুহিলপুর গ্রামের ইয়াকুব মিয়ার ছেলে। পুলিশের দাবি নিহত ইউসুফ মিয়া শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও রুকন মিয়া সিএনজি অটোরিক্সা ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। পুলিশ লাশ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
কসবা থানা পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ইউসুফ মিয়াকে ৯০ কেজি গাঁজাসহ তার বাড়ি থেকে আটক করা হয়। স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাকে নিয়ে গভীর রাতে কুটি ইউনিয়নের কালামুড়িয়া এলাকায় মাদক উদ্ধার করতে গেলে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা তার সহযোগীরা পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে সহযোগীদের গুলিতে নিহত হন ইউসুফ মিয়া। এসময় পুলিশের এক এসআই ও ৩জন কনস্টেবল আহত হয়। কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিউদ্দিন জানান, নিহত ব্যক্তি পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পুলিশের এসআই মনির হোসেন কনস্টেবল ইব্রাহিম, নজরুল ও নাজিম আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, দুই রাউন্ড কার্তুজ ও ১৩৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।
অন্যদিকে সরাইল থানা পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে সরাইল উপজেলা সদরের উচালিয়াপাড়া মোড় থেকে রুকন মিয়াকে চুরি করা একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ আটক করা হয়। রাতে পুলিশ রুকন মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে অস্ত্র ও চুরি করা অটোরিকশা উদ্ধারে ইসলামাবাদ এলাকায় পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা অস্ত্রধারী ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল রুকন মিয়াকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর গুলি ছোড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোড়ে। দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে রুকন মিয়া গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে পুলিশ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রূপক কুমার সাহা বলেন, রুকন মিয়ার বিরুদ্ধে সরাইল ও সদর থানায় অটোরিকশা চুরির অভিযোগে চারটি মামলা রয়েছে। গতকাল রাতের ঘটনায় সরাইল থানার ওসি তদন্ত কামরুজ্জামান বাদী হয়ে দুটি মামলা দায়ের করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।