পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ধর্ম যার যার উৎসব সবার কথাটি ইদানিং খুব শোনা যাচ্ছে। সমাজের অনেক গুরুত্বপূর্ণ লোকেরাও না বুঝে একথা উচ্চারণ করছেন। নানা জায়গায় কিছু লোক উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব লিখে ব্যানার ও পোস্টার টানাচ্ছে। অথচ একথা বিশ্বাস করলে মুসলমানের ঈমান থাকবে না। নবী করীম সা. বলেছেন, যে মুসলমান অন্য ধর্মের অনুকরণ করবে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। তিনি আরো বলেন, যে মুসলমান অন্য ধর্মের উৎসবে যোগ দিয়ে তাদের সমাবেশকে বড় করবে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। একটি জাতীয় বা সাংস্কৃতিক উৎসব সবার হতে পারে কিন্তু ধর্মীয় উৎসব যেখানে পূজা বা উপাসনা জড়িত তা কেবল নির্দিষ্ট ধর্মাবলম্বীদেরই উৎসব। যেমন মুসলমানের ইবাদত-বন্দেগী অন্য ধর্মের নয়। গত শুক্রবার রাজধানীর উত্তরা ১১নং পার্ক ময়দানে অনুষ্ঠিত ইসলামী মহা সম্মেলনে দেশের শীর্ষ আলেমগণ এসব কথা বলেন।
হজরত হাফেজ্জী হুজুরের খলিফা, পীরে কামেল, দেশের প্রবীণ প্রকৌশলী প্রফেসর ড. হামিদুর রহমানের সভাপতিত্বে ১১নং সেক্টর কল্যাণ সমিতি ও বাইতুন নূর জামে মসজিদ ফাউন্ডেশন আয়োজিত এ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা আব্দুল বাসেত খান প্রমুখ। উত্তরা ও আশেপাশের ২০টি কওমী মাদরাসা, এলাকার সকল মসজিদ ও সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ জনসাধারণ এ সম্মেলনকে সফল করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেন। সভায় বক্তাগণ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও মানবাধিকার রক্ষায় ইসলামের বিধান তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, হিন্দু এলাকা ও মন্দিরে পূজামন্ডপ বানিয়ে নির্বিঘেœ হিন্দু ভাইয়েরা পূজা করবেন এতে মুসলমানদের কোন সমস্যা নেই। যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশে এর নজির ধর্মপ্রাণ মুসলমানরাই কায়েম করেছেন। কিন্তু যেসব জায়গায় ৫টি হিন্দু বাড়িও নেই বা বসতিদের মধ্যে ৫% হিন্দুও নেই সেখানে বড় মাঠ দখল করে বিশাল প্যান্ডেলে পূজার আয়োজন যুক্তিযুক্ত নয়। বর্তমানে মসজিদের পাশেও অহেতুক পূজামন্ডপ বানানো হচ্ছে। মাসব্যাপী হৈ হুল্লোড় করা হচ্ছে। ঈদের নামাজ বা কোরবানীর হাট হয় এমন মাঠেও নতুন নতুন পূজামন্ডপ হচ্ছে। নানাভাবে মুসলমানের ইবাদত কোরবানী সঙ্কুচিত, বাধাগ্রস্ত ও নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। এসবই যুক্তি, গণতন্ত্র ও বাস্তবতার আলোকে চিন্তা-ভাবনা করে করতে হবে। তা না হলে দেশের আলেম-ওলামা, ইমাম-খতিব, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ শত চেষ্টা করেও সম্প্রীতি বজায় রাখতে ব্যর্থ হবেন। সবশেষে দেশ, জাতি ও মানবতার সার্বিক কল্যাণ কামনা করে মুনাজাতের মাধ্যমে সম্মেলন শেষ হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।