বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটির আহবায়ক ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ দেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় বুযুর্গ হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ. ও মুফতি আমীমুল ইহসান রহ. এর নাম অন্যায়ভাবে স্বাধীনতা বিরোধীদের তালিকায় অন্তর্ভূক্তি, সড়ক থেকে নাম অপসারণ, মসজিদের নগরী ঢাকাসহ সারা দেশে মূর্তি স্থাপন, পাঠ্যসূচীকে নাস্তিক্যবাদী ও হিন্দুয়ানীকরণ, স্কুলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সিনেমা প্রদর্শনের উদ্যোগসহ আলেমসমাজ, মসজিদ-মাদরাসা ও ইসলামী জনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন। তিনি বলেন, যখনই ইসলামের উপর আঘাত আসবে তখনই এদেশের ওলামায়ে কেরাম তাওহিদী জনতা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।
গতকাল দুপরে ইসলামী ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটির উদ্যোগে স্থানীয় একটি হোটেলে আয়োযিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে উল্লিখিত ইসলাম বিরোধী পদক্ষেপ সমূহের প্রতিবাদে তিনি আগামী ৬ অক্টোবর, বাদ জুমা, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম, উত্তরগেটে মহা সমাবেশের কর্মসূচী ঘোষণা করেন। এছাড়া অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে থাকবে জেলা ও বিভাগীয় শহরে মানববন্ধন, ওলামা ও সুধি সমাবেশ এবং ঢাকায় জাতীয় ওলামা ও সুধি সমাবেশ। খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদীর সঞ্চলনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইসলামী ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটির সদস্য সচিব বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক। উপস্থিত ছিলেন ঐতিহ্য সংরক্ষণের সমন্বয়কারী ও খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, জামিআ মুহাম্মদিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবুল কালাম, ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ন-মহাসচিব মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দীন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ন-মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা ফজলুর রহমান কাসেমী, খেলাফত মজলিসের যুগ্ন-মহাসচিব শেখ গোলাম আজগর, নেজামে ইসলাম পার্টির যুগ্ন-মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার, খেলাফত আন্দোলনের যুগ্ন-মহাসচিব রোকনুজ্জামান রোকন, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক ড. সাখাওয়াত হোসাইন, মুফতি ফখরুল ইসলাম, মাওলানা সুলতান মহি উদ্দীন, মাওলানা ছানাউল্লাহ, মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা মুহাম্মদ ফয়সাল, মুফতি আকরাম হুসাইন প্রমূখ।
সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ বলেন, সরকার স্বপণোদীত হয়েই সড়কের নাম ফলকে দুই বুযুর্গের নাম দেয় কিন্তু যুদ্ধাপরাধীর বিষয়ে একটি নামের তালিকায় হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ. ও মুফতি আমীমুল ইহসান রহ. এর নাম না থাকলেও পরবর্তিতে ঐ তালিকায় উলিখিত দুই বুযুর্গের নাম সংযুক্ত করে নাম ফলক থেকে তাদের নাম বাদ দেয়া হয়। এ ঔদ্ধত্ব কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না তাদের নাম পুনর্বহাল করতে হবে। তিনি বলেন, সর্বত্র অনিয়ম, দুর্নীতি, ইভটিজিং, নারীর প্রতি সহিংসতার ব্যাপক সয়লাব চলছে। এ দুরবস্থা থেকে উত্তরণে ইসলামী শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের অন্তরে আল্লাহর ভয় সৃষ্টি করতে হবে। কিন্তু সরকার তা না করে স্কুলশিক্ষার্থীদের সিনেমা দেখানোর উদ্যোগ নিচ্ছে । এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। এই সিদ্ধান্ত ছাত্রসমাজ এবং শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেবে। এ চক্রান্ত যে কোন মূল্যে প্রতিহত করা হবে। দেশে সর্বত্র অনিয়ম, দূর্নীতি ও অপকর্মের প্রতিযোগিতা চলছে। এক মাত্র কুরআন-হাদীসের সঠিক শিক্ষা ব্যবস্থাই পারে দেশকে আদর্শ নাগরিক উপহার দিতে। অতএব স্কুল-কলেজে আধুনিক শিক্ষার পাশা-পাশি শিক্ষার্থীদের যত বেশি ইসলামী শিক্ষা দেয়া যাবে তা দেশের জন্য কল্যানকর হবে। নাস্তিক্যবাদের প্ররোচনায় পুনরায় পাঠ্যসূচী পরিবর্তন করে ধর্মহীন শিক্ষাব্যবস্থা চাপিয়ে দিলে তা দেশ ও জাতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিবে। দেশ ও জাতি ধ্বংসের এ ষড়যন্ত্র জনগণ মেনে নেবে না । মূর্তি স্থাপন সরাসরি আল্লাহর সাথে বিদ্রোহের শামিল।সুপ্রিম কোর্টে মূর্তি স্থাপন ইসলাম ও মুসলমানদের ধর্মীয় ঐতিহ্যের উপর চরম আঘাত। দেশের শীর্ষ আলেমদের সামনে প্রধানমন্ত্রীর ওয়াদার পরও কি ভাবে সুপ্রিম কোর্টে মূর্তি পুনঃস্থাপন হল তা জাতি জানতে চায়। মূর্তি সংস্কৃতির চির অবসান ঘটালে দেশের তাওহিদী জনতা তাদের ঈমান-আকিদা রক্ষায় কঠিন থেকে কঠিন কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়বে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।