বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কাজীর রাস্তা এলাকায় বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে বাবা-মেয়েসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন খাইরুন বিবি (৩৫), তার বাবা করিম গাজী (৫৪), একই পরিবারের নাজমুল গাজী (৪০), নাজমুলের স্ত্রী আসিফা বেগম, মাইক্রোবাসের চালক আনিসুর রহমান (২৫) ও তার ভাগনে জাহিদ হাসান (১৮)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বেনাপোল থেকে শ্যামলী পরিবহনের ঢাকাগামী বাসটি ঢাকা থেকে সাতক্ষীরাগামী একটি মাইক্রোবাসকে সামনে থেকে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই খাইরুন বিবি নিহত হন। তাঁর বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পরাণপুরে।
দুর্ঘটনায় আহত খাইরুন বিবির ছেলে আবুল খায়ের জানান, তার মা ওমান প্রবাসী। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি ঢাকায় আসেন। মাকে নিয়ে মাইক্রোবাসে ঢাকা থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় তার আরেক ভাই সাইফুদ্দিনও আহত হন। তারা দুই ভাই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
করিমপুর হাইওয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) নওশের আলী জানান, শ্যামলী পরিবহনের বাসটি ভুল দিক থেকে এসে এই দুর্ঘটনা ঘটায়।
ফায়ার সার্ভিস মাইক্রোবাস থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ফরিদপুর দমকল বাহিনীর স্টেশন ম্যানেজার মো. সাইফুজ্জামান জানান, ঘটনাস্থলে খায়রুন বিবি, আসিফা বেগমসহ তিনজন মারা যান। বাকি তিনজন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। লাশ ফরিদপুর মেডিকেলের মর্গে আছে।
দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি আটক করা হয়েছে। চালক পলাতক রয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।