Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কোরবানির পশু নির্ধারিত স্থানে জবাই করাতে তৎপর কেসিসি

খুলনাতে চাহিদার চার তৃতীয়াংশ পশু সঙ্কট!

| প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম


খুলনা ব্যুরো : পবিত্র ঈদ-উল-আযহায় খুলনা মহানগর ও জেলায় এক লাখ ১২ হাজার গরু-ছাগল কোরবানীর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে খুলনাতে উৎপাদন হয়েছে মাত্র ২৫ হাজার গরু-ছাগল। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন হয়েছে মাত্র ২৫ শতাংশ। সঙ্কটে রয়েছে চাহিদার চার তৃতীয়াংশ কোরবানীর পশু। এ নিয়ে এখনো দুশ্চিন্তায় পড়ছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। এদিকে, পরিবেশ রক্ষায় কোরবানীর পশু নির্ধারিত স্থানে জবাই কার্যক্রম সফল করতে এখনো তোড়জোড় শুরু করেছে খুলনা সিটি করোরেশন (কেসিসি)।
খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্র জানান, গেল বছর ৬০ হাজার ৫১৯ গরু এবং ৫১ হাজার ৮৪৬ ছাগল-ভেড়া কোরবানী হয়েছিল। জেলার নয় উপজেলায় গত বছর ২০ হাজার ৯০টি গরু এবং ৭ হাজার ৮৫৩ ছাগল উৎপাদন হয়। এ বছর ১৬ হাজার ২৯৩ গরু এবং ৯ হাজার ৭৮৩টি ছাগল উৎপাদন হয়েছে। উৎপাদনের তালিকায় কয়রা উপজেলা শীর্ষে রয়েছে। খুলনার তেরখাদা, ফুলতলা ও ডুমুরিয়া উপজেলায় ষাঁড় মোটাতাজাকরণ হচ্ছে। চাহিদা পূরণের জন্য নড়াইলের কালিয়া ও যশোরের অভয়নগর মণিরামপুর থেকে কোরবানীর পশু আমদানি হবে।
জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সৈয়দ মোঃ আনোয়ার উল ইসলাম জানান, নিরাপদ গরুর গোসত উৎপাদনে খামারীদের উৎসাহ করা হয়েছে। তারা এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করছে না। জেলার কোরবানী পশুরহাটে নিরাপদ গোশত সরবরাহ করা হবে। এবছর জেলায় ষাঁড় ও বলদ উৎপাদন হয়েছে ১৬ হাজার ২১৯টি।
গরু ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মহানগরীর জোড়াগেট, ডুমুরিয়া উপজেলার শাহপুর, খর্ণিয়া, পাইকগাছার চাঁদখালী, সাতক্ষীরা আবাদের হাট, দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়ায়, দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলা থেকে কোরবানীর গরু ছাগল এনে চাহিদা পূরণ হয়। এদিকে, খুলনা মহানগরীতে গত বছর ঈদুল আযাহায় নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানীতে তেমন সাড়া না মেলায় এবার আগে-ভাগেই তৎপর হয়েছে কেসিসি।
ইতিমধ্যে পশু জবাইয়ে জন্য মহানগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে ১৬০টি স্থান চূড়ান্ত করা হয়েছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত নেয়া হয়েছে প্রচার-প্রচারণাসহ নানা উদ্যোগ। কর্পোরেশন সূত্র জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গত বছর ঈদুল আযাহায় নগরীতে নির্ধারিত স্থানে পশু জবাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেসিসি। কিন্তু মাত্র শতকরা ৩৬ ভাগ কোরবানীর পশুর নির্ধারিত কেন্দ্রে আসে। বাকি ১০ ভাগ সড়কে এবং ৫৫ ভাগ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বাড়ির ছাদে, গ্যারেজে ও বাড়ির মধ্যে উন্মুক্ত জায়গায় পশু জবাই করা হয়। নির্ধারিত স্থানে নগরবাসীকে এবার পশু এনে কোরবানী করতে ব্যাপক তৎপরতা শুরু হয়েছে। এছাড়া ঈদের আগের দিন পর্যন্ত প্রচার-প্রচারণাসহ নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ