Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মৈত্রী ট্রেনের যাত্রীদের ইমিগ্রেশন যাত্রা স্টেশনেই

| প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপেস ট্রেন যাত্রীদের ইমিগ্রেশন, কাস্টমসসহ যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা যাত্রা স্টেশনেই সম্পন্ন হবে। এই ট্রেনে যারা কলকাতা যাবেন তাদের যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে। আর কলকাতা থেকে যারা ঢাকা আসবেন তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে শিয়ালদহ স্টেশনে। রেলওয়ে সূত্র জানায়, যাত্রী হয়রানী বন্ধ করার লক্ষ্যে রেল কর্তৃপক্ষ এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে ভারতীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সম্মতিসূচক জবাব এখনও মেলেনি। তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আশা করছে, শিগগিরি তারা সম্মতি জানিয়ে চিঠির জবাব দিবে। রেল ভবনের একজন কর্মকর্তা বলেন, আশা করছি শিগগিরই তারা সম্মতি জানিয়ে জবাব দিবে। চিঠির জবাব পেলে খুব শিগগিরই এ সেবা চালু করা সম্ভব হবে। ওই কর্মকর্তা বলেন, এই সার্ভিস চালু হলে ঢাকা ও কলকাতার দুই প্রান্তে শুরুতেই ইমিগ্রেশন, কাস্টমসসহ অন্যান্য দাফতরিক কাজ সেরে নেয়া হবে। এতে মৈত্রী এক্সপ্রেসের মধ্যপথে আর কোথাও বিরতির প্রয়োজন হবে না। তখন ট্রেনটি ননস্টপ চলাচল করবে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, বর্তমানে মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রীদের বাংলাদেশের দর্শনা ও ভারতের গেদে স্টেশনে ইমিগ্রেশন কাজ সারতে হয়। এ সময় যাত্রীদের সকল মালামাল নিয়ে ট্রেন থেকে নেমে কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা সেরে আবারো মালামাল নিয়ে ট্রেনে উঠতে হয়। আর ইমিগ্রেশনের কাজ সারতে মাঝপথে চলে যায় তিন ঘণ্টা সময়। বিষয়টি অনেক সময় যাত্রীদের জন্য বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মৈত্রী এক্সপ্রেসের ভেতরে খাদ্য-পানীয়ের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকায় মাঝপথে কোথাও থামানোর প্রয়োজন নেই।
ঢাকা থেকে কলকাতার দূরত্ব ৩৭৫ কিলোমিটার। এই দূরত্বে মৈত্রী ট্রেনে যেতে সময় লাগে ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টা। মৈত্রী ট্রেনে ভ্রমণ করেছেন এমন কয়েকজন যাত্রীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, দর্শনা বা ভারতের গেদে স্টেশনে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনে যাত্রীদের সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়। মালামাল নিয়ে ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে একদিকে যেমন কষ্ট হয়, অন্যদিকে মালামাল হারিয়েও যায়। আবার মালামাল নিয়ে ট্রেনে উঠতে গিয়ে বাড়তি ঝামেলা হয়। যাত্রা স্টেশনে ঝামেলা একেবারে শেষ করা গেলে যাত্রী হয়রানী অনেকটাই কমে যাবে। এ ছাড়া তখন গন্তব্যে পৌঁছতে সময়ও কম লাগবে।
দীর্ঘ ৪৩ বছর পর ২০০৮ সালে মৈত্রী ট্রেনের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত রেল যোগাযোগ শুরু হয়। বৃহস্পতিবার ছাড়া ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা রেলপথে এখন সপ্তাহে ৬ দিন মৈত্রী এক্সপ্রেস চলাচল করে। এটি এখন সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। ভাড়া ভ্রমণ করসহ ১৬৩৩ টাকা। প্রাপ্ত বয়স্কদের সঙ্গে ৫ বছরের নিচের বয়সের শিশুরা ৫০ শতাংশ কম ভাড়ায় যাতায়াত করতে পারে। অপেক্ষাকৃত কম ভাড়া ও আরামদায়ক ভ্রমণ হওয়ায় এখন ঢাকা-কলকাতা ভ্রমণের জন্য মৈত্রী এক্সপ্রেস দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কমলাপুর স্টেশন মাস্টার জানান, এখন আর ট্রেনের আসন তেমন খালি থাকে না। প্রতিদিন উভয় দিক থেকে প্রায় ৫ শতাধিক যাত্রী এই ট্রেনে যাতায়াত করে। যাত্রীদের চাহিদা বিবেচনা করে আগামী মাস থেকে খুলনা-কলকাতা রেলপথে মৈত্রী-২ চালু হচ্ছে। শুরুতে ট্রেনটি সপ্তাহে একদিন চলাচল করবে। ###



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ