বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ডলিয়ারা খাতুন (৪৫) নামে এক গৃহবধু হত্যা প্ররোচিত মামলার প্রধান ২ আসামী গ্রেপ্তার হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের মাদিয়া গ্রাম থেকে মৃত তাহের উদ্দিনের ছেলে পাপ্পু (৪৫) ও আব্দুল করিমের ছেলে বাপ্পী (২৭) নামে দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহতের পরিবার ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের মাদিয়া গ্রামের হামিদুল ইসলামের সাথে প্রতিবেশী মালদ্বীপ প্রবাসী জামিরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা খাতুনের পরকীয়া সম্পর্ক হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় প্রভাবশালী পাপ্পু, বাপ্পী, নুর ইসলামসহ ৫-৭ জন বুধবার বিকেলে হামিদুল ইসলামকে বেধড়ক মারপিট করে ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা দিতে না পারলে সেলিনা খাতুনের সাথে তার জোর করে বিয়ে দেয়া হবে বলে জানানো হয়। এ খবর শুনে হামিদুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী ডলিয়ারা খাতুন ডলি লজ্বায় স্বামীর বাড়ি থেকে হরিনগাছী গ্রামে তার বাবার বাড়িতে টাকা সংগ্রহ করতে যায়। এরই মধ্যে মাদিয়া গ্রামের চাঁদা দাবিকারীরা হামিদুল ইসলাম ও পরকীয়া প্রেমিকা সেলিনা খাতুনকে বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে পার্শ্ববর্তী ভেড়ামারা উপজেলার সাতবাড়িয়া ভাঙ্গাপুলের কাছে এক বাড়িতে নিয়ে তাদের জোর করে বিয়ে দেয়। এ সময় পিয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ লালু উপস্থিতি ছিলেন বলে জানানো হয়।
স্বামীর হামিদুলের দ্বিতীয় বিয়ের খবর শুনে প্রথম স্ত্রী ডলিয়ারা খাতুন ডলি (৪৫) হরিনগাছী গ্রামে তার বাবা মৃত আলহাজ্ব ছিদ্দিকুর রহমানের বাড়ির একটি ঘরে ডাফের সাথে রাতে গলায় ফাঁশ দিয়ে আত্মহত্যা করে। বাড়ির লোকজন ডলিয়ারা খাতুনের লাশ ঘরে ডাফের সাথে ঝুলতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ নিহত গৃবধুর লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে এবং এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। পরে নিহত গৃহবধুর ভাই মো. দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে বুধবার রাতে ৫ জনকে আসামী করে হত্যা প্ররোচিত মামলা করে যার নং ৫০। মামলার অপর ৩ আসামী হামিদুল ইসলাম, সেলিনা খাতুন ও নুর ইসলাম। এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি শাহ দারা খান জানান, দুই সন্তানের জননী গৃহবধু ডলিয়ারা খাতুন হত্যা প্ররোচিত মামলার অন্যতম দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাঁকী আসামীদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।