Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খালেদার দুই মামলার পরবর্তী শুনানি ৩ আগস্ট

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০১৭, ৩:০৭ পিএম

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৩ আগস্ট নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত পঞ্চম বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাক্ষীদের জেরা ও পুনর্জেরার জন্য বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
অন্যদিকে আদালত একই সঙ্গে অসুস্থতার জন্য খালেদা জিয়ার হাজিরার ক্ষেত্রে যে সময়ের আবেদন করেছেন, তা মঞ্জুর করেছেন। খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারির আবেদনটি মুলতবি করে দিয়ে আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেন। গত ২০ জুলাই এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী এখন চিকিৎসার জন্য লন্ডনে রয়েছেন।
মামলায় আজ আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী, সানাউল্লাহ মিয়া, আমিনুল ইসলাম, মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ।
সানাউল্লাহ মিয়া জানান, আজ আদালতে এ মামলার নয় সাক্ষীকে জেরা ও দুই সাক্ষীকে পুনর্জেরার আবেদন করা হয়েছিল। আদালত তা নাকচ করে দিয়েছেন। তবে খালেদা জিয়ার সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
আজ আদালত আসামি শরফুদ্দিন ও জিয়াউল ইসলাম মুন্নার আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্যের নির্দেশ দেন।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি। জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে মোট তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুন-অর-রশিদ।
এ মামলার অপর আসামিরা হলেন—খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
অন্যদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন—মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ