পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনে দায়িত্বরত ঘুষখোর মালয় সিকিউরিটির হাতে অসহায় প্রবাসী কর্মীরা অহরহ নিগৃহীত হচ্ছে। অসাধু মালয় সিকিউরিটিদের বর্বরোচিত আচরণের কেউ প্রতিবাদ করলে তাৎক্ষণিক তাদের উপর নেমে আসে বেধড়ক লাঠিচার্জ।
গতকাল বুধবার কুয়ালালামপুরের স্থানীয় সময় সকাল ৯টা দিকে হাই কমিশনের প্রবেশ পথে বাড়ীর মালিকের কথিত মালয় সিকিউরিটি আগাত প্রবাসী কর্মীদের ভেতরে ঢুকতে এক রিংগিট করে বক্সের মধ্যে প্রকাশ্যে ঘুষ নেয়া শুরু করে। বক্সে এক রিংগিট ঘুষ না দিলে কোনো কর্মীকে হাই কমিশনের ভেতরে দেয়া হয়নি। এ দৃশ্য দেখে হাই কমিশনে আগত অসহায় কর্মীরা হতবাক হন। কুয়ালালামপুর থেকে একাধিক সূত্র এতথ্য জানিয়েছে। মালয়েশিয়া বাংলাদেশী কমিউনিটি’র শীর্ষ পর্যায়ের জনৈক কর্মকর্তা এ ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের হাই কমিশনার শহীদুল ইসলামের চরম ব্যর্থতা ও উদাসিনতার দরুণ বাংলাদেশ হাই কমিশনে অসহায় কর্মীরা প্রতিনিয়তই নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। বিষয়টি হাই কমিশনের কর্মকর্তাদের অবহিত করা হলে কর্মকর্তারা বিস্মিত হন। হাই কমিশনের প্রথম সচিব ধনরঞ্জনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা নীচে নেমে কর্মীদের কাছ থেকে কিসের অর্থ আদায় করা হচ্ছে জানতে চান। এতে অসাধু মালয় সিকিউরিটির সদস্যরা হাই কমিশনের কর্মকর্তাদের উপর ক্ষুদ্ধ হয়। এক পর্যায়ে ঘুষ আদায়ের বক্স ভেঙ্গে ফেলা হয়। মালয় সিকিউরিটিরা হাই কমিশনের কর্মকর্তাদের উপরও চড়াও হয়। হাই কমিশনের বাড়ীর চীনা মালিক বিষয়টি আচঁ করে অসাধু সিকিউরিটিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে হাই কমিশনের গেইটে তালা ঝুঁলিয়ে দেয়। কথিত সিকিউরিটিরা হাই কমিশনের প্রথম সচিব ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তার দু’টি প্রাইভেট কারের চাকাও লক করে দেয়। হাই কমিশনের পক্ষ থেকে পরে মালয় পুলিশ তলব করা হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে হাই কমিশনের গেইটের তালা খুলে দেয়া হয়। কুয়ালালামপুর থেকে প্রবাসী ড্রাইভার মুজিব ইনকিলাবে জানান, মালয় সিকিউরিটিরা অত্যান্ত মারমুখি হয়ে ডিউটি করে। তারা প্রতিদিনই বাংলাদেশী কর্মীদের কাছ থেকে ১০ রিংগিট থেকে ২০ রিংগিট নিয়ে লাইন ছাড়াই অনেককে ভেতরে ঢুকার সুযোগ করে দেয়। তিনি বলেন, গতকাল তারা প্রকাশ্যে ঘুষের বক্স নিয়ে রিংগিট সংগ্রহ শুরু করে। এনিয়ে আগত কর্মীদের মাঝে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় পাকিস্তান, ভারত ও ইন্দোনেশিয়ান হাই কমিশনে এধরনের আচরণের সাহস পাবে না কোনো মালয় সিকিউরিটি। কিন্ত বাংলাদেশ হাই কমিশনের প্রশাসনিক দূর্বলতার কারণে এসব অসাধু মালয় সিকিউরিটিরা বাংলাদেশী কর্মীদের উপর অহরহ নির্যাতন ও নিপীড়ন চালাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।