Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হৃদরোগ এড়াতে চাইলে দৈনিক ২ চামচের বেশি তেল খাওয়া যাবে না

| প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার: ভারতীয় উপমাহদেশের মানুষ চাইনিজদের তুলনায় ৬ গুণ এবং জাপানিজদের তুলনায় ২০ গুণ বেশি হৃদরোগে ঝুঁকিপূর্ণ। এ অঞ্চলের মানুষ খাদ্যাভ্যাস নিয়ে সচেতন নয়। ফলে আমরা সহজেই হৃদরোগ ছাড়াও অন্যান্য রোগে সহজেই আক্রান্ত হয়ে পড়ছি। হৃদরোগ বিষক বক্তব্যে ভারতের দিল্লীর এপোলো ইন্দ্রপ্রস্থ হাসপাতালে কার্ডিওভাস্কোলার ও কার্ডিওথোরাসিক সার্জারীর সিনিয়র কনসালট্যান্ট ড. মোকেশ গোয়েল এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়স সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এ সময় মানুষের মধ্যে উচ্চ কলেস্টেরল, স্থুলতা, ধূমপান, মানসিক চাপ (স্ট্রেস) এবং উচ্চ রক্ত চাপ (হাইপারটেনশন) দেখা দেয়। আমরা বেশি পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট (ভাত) খেয়ে থাকি। এর তুলনায় প্রোটিন গ্রহণ করি একেবারে কম। ফলে আমরা স্থুল হয়ে যাচ্ছি। স্থুলকায় ব্যক্তি হার্ট এটাকে দ্বিগুণ ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা শারীরিক পরিশ্রমও কম করি। এ অঞ্চলে এতো বেশি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে বিশ্বের ‘ডায়াবেটিসের রাজধানী’ বলা হয়ে থাকে। ড. মোকেশ জানান, খাবার খাওয়ার আগে আমাদের দেখতে হবে আমরা কি খাচ্ছি। খাবার তালিকায় ভাত, চাপাতি, রুটি কম রাখতে হবে। তেল অথবা ঘি দৈনিক জনপ্রতি ২ চা চামচের বেশি খাওয়া যাবেনা। তিনি বলেন, সব ধরনের রান্নার তেল একই রকম। ‘কোনো তেলে কলেস্টেরল কম, কোনোটায় বেশি’ এমন নয়। তিনি জানান, রান্না করা পোড়া তেল কখনোই পুণ: ব্যবহার করা যাবেনা। লাল রংয়ের গোসত পরিহার করতে হবে সুস্থ থাকতে চাইলে। সুস্থ থাকতে চাইলে দৈনিক ৪০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে। সাইকেল চালালে দৈনিক কমপক্ষে ৪ কিলোমিটার চালাতে হবে। এছাড়া ধূমপান এখানকার মানুষের ধূমপানের পরিমাণ অনেক বেশি। অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ধূমপায়ীর সংখ্যা চারগুণ বেশি।ড. মোকেশ বলেন, মেডিক্যাল থেরাপি, এনজিওপ্লাস্টি বা স্ট্যানটিং এবং বাইপাস সার্জারীর মাধ্যমে হৃদরোগে সুস্থ থাকা যায়। তিনি বলেন, হৃদপিন্ডে ৭০ শতাংশের বেশি বøক হলে তা মেডিক্যাল থেরাপি (ওষুধ) নেয়া হলে সুস্থ থাকা যায়। ৭০ শতাংশের বেশি বøক হলে এনজিওপ্লাস্টি বা স্ট্যান্টিং করতে হবে এবং হার্টের আর্টারী পুরোপুরি বøক হয়ে গেলে বাইপাস সার্জারী করতে হবে।
সুস্থ থাকতে হলে উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে রাখতে হবে। স্ট্রেস কমিয়ে রাখার জন্য যোগ ব্যায়াম, মেডিটেশন (ধ্যান) করা যেতে পারে। তাছাড়া স্ট্রেস কমিয়ে রাখার জন্য পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সহায়তা নিতে হবে। কেয়ারিং ইন্ডিয়া আয়োজিত হেলথ সেমিনারে ক্যান্সার বিষয়ক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। একই বিষয়ে এছাড়াও বক্তব্য রাকেন একই হাসপাতালের আরেক সিনিয়র কনসালট্যান্ট ড. ফিরোজ পাশা এবং ইউরোলজি বিষয়ক বক্তব্য রাখেন এপোলোর সিনিয়র কনসালট্যান্ট ড. এন সুব্রামানিয়ান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ