Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বাহুবলে ৪ শিশু হত্যায় ৩ জনের ফাঁসি

সিলেট অফিস | প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০১৭, ১২:২৮ পিএম

বুধবার বেলা পৌনে ১২টায় সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান এ রায় ঘোষণা করেন। এসময় অভিযুক্ত ৫ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বেলা সোয়া ১১টায় আলোচিত এ মামলার রায় পড়া শুরু করেন বিচারক। গতকাল মঙ্গলবার ৪ শিশু হত্যা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজ দিন ঠিক করেন আদালত।
২০১৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বাড়ির পাশের খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় হবিগঞ্জের বাহুবলের সুন্দ্রাটিকি গ্রামের আবদাল মিয়া তালুকদারের ছেলে মনির মিয়া (৭), ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), আব্দুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া (১০) ও আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল হোসেন (১০)।
মনির সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণি, তার দুই চাচাত ভাই শুভ ও তাজেল একই স্কুলে দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল। আর তাদের প্রতিবেশী ইসমাইল ছিল সুন্দ্রাটিকি মাদ্রাসার ছাত্র।
১৭ ফেব্রুয়ারি সুন্দ্রাটিকি গ্রামের কাজল মিয়া নদীর পাশে মাটি কাটতে গিয়ে বালিচাপা অবস্থায় ৪ শিশুর মরদেহ দেখতে পান। পরে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত শেষে ওই দিন রাতে তাদের দাফন করা হয়।
ওই সময়ে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আব্দুল আলী বাঘাল, তার দুই ছেলে জুয়েল ও রুবেল, একই গ্রামের আজিজুর রহমান আরজু, শাহেদ আলী, সালেহ এবং বশিরসহ আরো কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত ৫ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোকতাদির হোসেন সিনিয়র বিচারিক হাকিম কাউছার আলমের আদালতে ৮ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন।
গত ২৮ জুন দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কিরণ শংকর হালদার অভিযোগপত্র আমলে নেন।
এর মধ্যে গ্রেপ্তার পরিকল্পনাকারী আব্দুল আলী বাঘাল, তার দুই ছেলে জুয়েল ও রুবেল, একই গ্রামের আজিজুর রহমান আরজু ও শাহেদ আলী কারাগারে রয়েছেন।
পলাতক ৩ আসামি হলেন আব্দুল আলী বাঘালের ভাতিজা বিল্লাল হোসেন, উস্তার মিয়া ও বাবুল আহমেদ। মামলার অন্যতম আসামি অটোরিকশা চালক বাচ্চু র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আলোচিত ৪ শিশু হত্যা মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। চলতি বছরের ১৫ মার্চ মামলাটি সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়েছিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ