Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুমিল্লা বোর্ডের ফল বিপর্যয়ে তদন্ত কমিটি

| প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : সদ্য প্রকাশিত কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও ফলাফল খারাপ করেছে এমন ২০১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ।
এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা বোর্ডের অধীন কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনি, নোয়াখালী ও লহ্মিপুর জেলার ৩৯০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১লাখ ৩৭২ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে মাত্র ৪৯ হাজার ৭০৪ জন। গড় পাসের হার ছিল ৪৯.৫২ শতাংশ। অস্বাভাবিক এ ফিল বিপর্যয়ে চরম সমালোচনার মুখে পড়ে বোর্ড কর্তৃপক্ষ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ ফল বিপর্যয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। কেন এই ফল বিপর্যয় ? এ কারণ অনুসন্ধানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গতকাল মঙ্গলবার তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ। বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জামাল নাসেরকে আহবায়ক এবং উপ-কলেজ পরিদর্শক বিজন কুমার চক্রবর্তী ও উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হাবিবুর রহমানকে সদস্য করে ৩ সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ফল বিপর্যয়ের কারণ এবং ভবিষ্যতে করণীয় নির্ধারনে সুপারিশ করতে বলা হয়েছে। অপরদিকে বোর্ডের অর্জিত ৪৯.৫২ শতাংশের নীচে ফেল করা ২০১টি প্রতিষ্ঠানকে চিহিৃত করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের ফলাফল খারাপ হওয়ার কারণ এবং ভবিষ্যতে ফলাফল ভাল করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিকট থেকে পরামর্শ চেয়ে ওই চিঠি দেয়া হচ্ছে বলে বোর্ড সূত্র জানিয়েছে। বোর্ডের ছয় জেলায় ফলাফল খারাপ করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা হচ্ছে, কুমিল্লায় ৮৯টি, বি-বাড়িয়া ২৩, লহ্মীপুরে ১৭,চাঁদপুরে ২৬, ফেনীতে ২২ এবং নোয়াখালী জেলায় ২৪টি। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের সচিব প্রফেসর মো. আবদুস ছালাম জানান, যে সব প্রতিষ্ঠান বোর্ডের গড় পাসের চেয়ে ফলাফল খারাপ করেছে তাদের চিঠি দিয়ে ফলাফল খারাপ করার কারণ এবং ভবিষ্যতে এ সমস্যা থেকে উত্তোরনের জন্য পরামর্শ দিয়ে সাতদিনের মধ্যে চিঠির জবাব দিতে বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে ফলাফল খারাপ হওয়ার কারণ কিংবা ভাল ফলাফলের জন্য যেসব পরামর্শ আসবে বোর্ড কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ