Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভবদহ এলাকায় মানবিক বিপর্যয় পানি ঢুকেছে শতাধিক গ্রামে

| প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মিজানুর রহমান তোতা : যশোরের চারদিকে পানি আর পানি। ৫দিনের অবিরাম বর্ষণ ও ভবদহে খনন ঠিকমতো না হওয়ায় প্লাবিত হয়ে পড়েছে বিরাট এলাকা। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে সকাল বিকাল। পানি বাড়ছেই। কমার কোন লক্ষণ নেই। ইতোমধ্যে ভবদহ এলাকার শতাধিক গ্রামে পানি ঢুকেছে। প্রতিমুহূর্তে পানি বাড়ছে। দেখা দিয়েছে মানবিক বিপর্যয়। ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আবেদন নিবেদন ও দৈনিক ইনকিলাবসহ পত্র-পত্রিকায় এবারের বর্ষায় মারাত্মক অবস্থা সৃষ্টি হবার আশঙ্কা প্রকাশ করা হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড আগাম কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ভবদহ ¯øুইস গেটের কাছে প্রায় ৮ কিলোমিটার খনন কাজের জন্য প্রায় কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। স্থানীয় এমপির পুত্রের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ২২ এপ্রিল থেকে কাজ শুরুর পরই তা বন্ধ হয়ে যায়। বলা হয় উভচর খননযন্ত্র অকেজো হওয়ায় কাজ বন্ধ রয়েছে। সর্বশেষ বরাদ্দকৃত অর্থের কাজ হলে এতটা ভয়াবহ হতো না বলে স্থানীয়রা জানান। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী জানান, দু’টি স্ক্যাভেটর অকোজো থাকায় কাজ বন্ধ রয়েছে। গতকাল ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবীর জাহিদ ভবদহ পানিবদ্ধ এলাকা ঘুরে এসে দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, পরিস্থিতি পক্রমেই ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে।
কেশবপুর, মণিরামপুর ও অভয়নগরের পানিবন্দীরা কাঁদছে। মাঠ-ঘাট, খাল-বিল, ঘর-বাড়ী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ পানিবদ্ধ এলাকায় ডুবে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। চারিদিকে শুধু পানি আর পানি। পানিবন্দীদের আহাজারী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কানে পৌছাচ্ছে না। ভবদহের শ্রীনদী, হরিহর, ভদ্রা ও টেকা নদীর পানি উপচে প্লাবিত হয়েছে। ভবদহের ২৭টি বিল পানিতে ডুবে গেছে। বাড়ী-ঘরে পানি উঠে দুর্বিসহ অবস্থায় পড়েছে পানিবন্দীরা। নির্ঘুম রাত কাটছে অনেকের। রান্নার জন্য শুকনো স্থান পাওয়া দুস্কর হয়ে পড়েছে। প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে এভাবে বিপজ্জনক অবস্থার সৃষ্টি হয়। তারপরেও সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নেয়া হয় না। আড়াই হাজার মাছের ঘের ও প্রায় তিন হাজারটি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপনের কাজ চলছে। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে প্রায় ১০ হাজার পরিবার। এখনই দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি উঠেছে। জেলা প্রশাসন সুত্র দাবি করেছে, ত্রাণ সাহায্য বিতরণের প্রস্ততি নেয়া হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ