বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোকে বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার পক্ষে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। তিনি বলেছেন, আমরা শুধু রপ্তানি খাতের জন্য নয়, সব খাতের জন্য নির্দিষ্ট কিছু শর্তে এ সুযোগ চাই।
মঙ্গলবার বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি) আয়োজিত এক সেমিনারে এফবিসিসিআই সভাপতি এসব কথা বলেন। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আইবিএফবির কার্যালয়ে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বক্তাদের প্রায় সবাই বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার পক্ষে মত দেন।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি সফিউল ইসলাম বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতে আমরা তাঁর কাছে ওয়্যারহাউস ও বিতরণকেন্দ্র করার জন্য জমি চাইলাম। তিনি বলেন, কেন আমরা ভারতেই পণ্য উৎপাদন করি না। ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের সঙ্গে সাক্ষাতের প্রসঙ্গ তুলে ধরে সফিউল ইসলাম বলেন, আমরা তাঁকে বললাম, তাঁর দেশে স্পিনিং মিল তৈরি করে সুতা উৎপাদন করার পর সেই সুতা বাংলাদেশে এনে পোশাক তৈরি করা হবে। সেই পোশাক যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করলে শুল্কমুক্ত সুবিধা চাওয়া হয়েছে। তিনি এটিকে একটি ভালো প্রস্তাব বলেছেন।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ না পেয়ে দেশে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ খাতে বিনিয়োগ করছেন দেশি উদ্যোক্তারা। ফলশ্রæতিতে ঝুঁকিপূর্ণ খাতে বিনিয়োগ করে বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে তারা। ব্যবসায়ীরা বিদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। সরকার থেকে বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করে দিলে এই ঝুঁকি হ্রাস পাবে।
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বর্তমানে দেশীয় বিনিয়োগকারীরা অনেক দক্ষ। এই দক্ষতা দিয়ে দেশের বাইরেও সফলভাবে বিনিয়োগ করতে পারবেন তারা। তাদের এই দক্ষতাকে কাজে লাগানোর সুযোগ তৈরি করতে হবে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী সদস্য অজিত কুমার পাল বলেন, বিদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে দেশি বিনিয়োগকারীদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করছে সরকার। দেশের বাইরে টেকসই বিনিয়োগের জন্য বিনিয়োগ সহায়ক একটি বিদেশি বিনিয়োগ নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে। খুব শিগগির তার খসড়া প্রদান করা হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোকে বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখা হচ্ছে। এজন্য বিদেশে বাংলাদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রনয়ণের কাজ চলছে। যা খুব শিগগির প্রণয়ন করা হবে। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছে বিডা।
আইবিএফবির সভাপতি হাফিজুর রহমান খান, সহসভাপতি হুমায়ুন রশিদ, সাবেক সেনাপ্রধান হারুনুর রশিদ প্রমুখ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আইবিএফবির পরিচালক মো. মজিবুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনটির আরেক পরিচালক এম এস সিদ্দিকী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।