বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাউজানে ১৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়ক, শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে ৬০ মিনিটে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার ফলদ চারা রোপণ করা সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার প্রচুর বৃষ্টি উপেক্ষা করে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬০ মিনিটে একযোগে সমগ্র রাউজানে এইসব চারা রোপণ করা হয়।
চারা রোপণকে কেন্দ্র করে সমগ্র রাউজানে আনন্দ উৎসাহ পরিলক্ষিত হয়। ছোট শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ সকলেই চারা রোপণের মত কাজে উৎসাহ নিয়ে অংশগ্রহণ করে। ব্যতিক্রমী এই পদক্ষেপ সারাদেশের মধ্যে প্রথম এক বিরল রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম হোসেন রেজা।
তিনি আরো বলেন একঘণ্টায় সাড়ে ৪ লাখ ফলদ চারা রোপণ করে রাউজানবাসী গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড স্থান পাবে বলে আশা করছে। সরেজমিন দেখাযায় উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে একযোগে এ বৃক্ষরোপণ করা হয়।
সকাল ১১টা থেকে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি তাঁর গাড়িবহরে উপজেলার বিভিন্নস্থানে চারা রোপণ কর্মসূচি পরিদর্শন ও বৃক্ষরোপণে অংশগ্রহণ করেন। রাউজান কলেজ গেইটে গাড়ি বহর থামিয়ে বৃক্ষরোপণ করার জন্য গাড়ি থেকে নেমে পড়েন তিনি নিজেই। উপজেলাকে গ্রিন সিটিতে রূপান্তর, দেশীয় ফলের চাহিদা মেটাতে এ উদ্যোগ নিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।
এমপির পৃষ্ঠপোষকতায় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গত দুই মাসব্যাপী মতবিনিময় সভা, সেমিনার, বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল ও বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।
চারা রোপণ বাস্তবায়ন পরবর্তী বেলা ২টায় ইউএনও কনফারেন্স রুমে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম হোসেন রেজা। এতে তিনি বলেন বৈরি আবহাওয়া সত্ত্বেও আমি গর্বের সাথে বলতে পারছি সমগ্র রাউজানে এক ঘণ্টার মধ্যে সাড়ে ৪ লক্ষ ফলদ চারা রোপণ করে যে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে তা বাংলাদেশের মধ্যে বিরল। প্রথম উপজেলা হিসেবে রাউজানই এই ব্যতিক্রমী আয়োজনটি বাংলাদেশকে উপহার দিল। চারা রোপণের ক্ষেত্রে রাউজানের মানুষের আগ্রহ ও উদ্দীপনা ছিল যথেষ্ট।
তিনি বলেন রোপিত চারাগুলো ঠিকমত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ‘আমার গাছটি কেমন আছে’ এই সংক্রান্ত একটি প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন সাংবাদিকরা লেখনীর মাধ্যমে চারা রোপণে যে উৎসাহ দান করেছেন সে জন্য আমি সাংবাদিকদের নিকট কৃতজ্ঞ। প্রেস ব্রিফিংয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি জুনায়েদ হোসেন সোহাগ,উপজেলা কৃষি অফিসার বেলায়েত হোসেন,শিক্ষা অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন,মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম,প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদ,উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমীনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
যেসব ফলদ চারা লাগানো হয়েছে
মোট চারা পরিমাণ ৪ লক্ষ ৫০ হাজার। তার মধ্যে আম ১ লাখ ৫ হাজার, কাঁঠাল ৬৫ হাজার, জাম ২৩ হাজার ৫শ, জলপাই ২৬ হাজার, বেল ১৫ হাজার, আমলকি ৩১ হাজার, লিচু ৯ হাজার, মাল্টা ২ হাজার, খেজুর ২ হাজার ১শ, ডালিম ৯ হাজার, সফেদা ১০ হাজার, আমড়া ২০ হাজার, লেবু ১০ হাজার, বাতাবি লেবু ১০ হাজার, মিষ্টি তেঁতুল ৮ হাজার, কমলা ১০ হাজার, আতা ৫ হাজার, কাট বাদাম ৩শ, কামরাঙ্গা ২০ হাজার, বাকী ২০ অন্যান্য জাতের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।