Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে পানিবদ্ধতায় বিপর্যস্ত জনজীবন, ২২৩ মিমি রেকর্ড বর্ষণ

জোয়ার, পাহাড়ি ঢল অব্যাহত সাঙ্গু-মাতামুহুরি বিপদসীমার উপরে

বিশেষ সংবাদদাতা, চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০১৭, ১:২০ পিএম

বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে অমাবস্যার বর্ধিত প্রভাবে প্রবল সামুদ্রিক জোয়ার সেই সাথে টানা ভারী বর্ষণ এবং পাহাড়ি ঢল অব্যাহত রয়েছে। সমগ্র চট্টগ্রামে ব্যাপক পানিবদ্ধতায় জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত।

আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস ২২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। যা সারাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। বর্ষণ, ঢল ও জোয়ারে বন্দরনগরী এবং বৃহত্তর চট্টগ্রামের অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে। আগামী ২ দিনেও বর্ষণ অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন কর্মস্থলমুখী অগণিত মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। আগ্রাবাদ হালিশহরে জোয়ার ও বর্ষণে ডুবে থাকা সড়ক রাস্তাঘাট পাড়ি দিতে কর্মস্থলমুখী মানুষজন নৌকায় করে যাতায়াত করছেন। চট্টগ্রাম কর কর্মকর্তারাও নৌকা ক্রয় করে নিয়েছেন অফিসে যাওয়া-আসার জন্য।

এদিকে উজানের ঢল ও অতিবর্ষণে দেশের দক্ষিণ-পূর্ব পার্বত্য অববাহিকায় (চট্টগ্রাম অঞ্চল) নদ-নদী ও শাখা-উপনদী, খালসমূহের পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। খরস্রোতা দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাঙ্গু নদী দোহাজারী পয়েন্টে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং মাতামুহুরি নদী পার্বত্য বান্দরবানের লামা ও কক্সবাজারের চিরিঙ্গা পয়েন্টে বিপদসীমার যথাক্রমে ৭০ এবং ৮৬ সেমি উপরে বয়ে যাচ্ছিল। কাপ্তাই বাঁধের পানির চাপ কমাতে স্পিলওয়ে দিয়ে অতিরিক্ত পানি ছাড়ার কারণে কর্ণফুলী নদীর পানির চাপ বেড়ে গেছে ভাটিতে। অনেক এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। অব্যাহত ভারী বর্ষণে চট্টগ্রামের ব্যবসা-বাণিজ্য, বন্দর কার্যক্রম, পণ্য পরিবহন, যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থবির হয়ে আছে টানা তিন দিন ধরে। সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩নং সতর্ক সঙ্কেত এবং চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের সতর্কতা জারি রাখা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন দুর্যোগকালীন কন্ট্রোল রুম চালু করেছে। গুদাম ও দোকান-পাটে পণ্যসমাগ্রী বিনষ্ট হয়েছে কয়েক শত কোটি টাকার।

টানা ভারী বর্ষণে জেলার মীরসরাই, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, সীতাকুণ্ড, সাতকানিয়া, বাঁশখালীসহ বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ি ঢল অব্যাহত রয়েছে। নগরী ও জেলার এসব জায়গায় বিরাজ করছে পাহাড়-টিলা ধসের আতঙ্ক। বৃহত্তর চট্টগ্রামে অতিবৃষ্টিতে পাহাড় ধসের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে লাখ লাখ মানুষ।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চট্টগ্রামের আকাশ ছিল ঘনঘোর মেঘে ঢাকা। থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ এবং পাহাড়ি ঢল, জোয়ারও অব্যাহত থাকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ