পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনে মালয় সিকিউরিটির হাতে বাংলাদেশী অসহায় কর্মীরা অহরহ নিগৃহীত হচ্ছেন। হাই কমিশনে আগত অভিবাসী কর্মীদের উপর মাঝে মধ্যেই চড়াও হয়ে মালয় সিকিউরিটিরা গণ-হারে কর্মীদের পেটাচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করলে তাদেরকে বুট জুতো দিয়ে পাড়িয়ে পাড়িয়ে নির্যাতন চালানো হচ্ছে। গতকাল সোমবার কুয়ালালামপুর থেকে একাধিক সূত্র এতথ্য জানিয়েছেন। গতকাল সকালের দিকে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনে বৃষ্টি’র মাঝে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শত শত বাংলাদেশী কর্মীরা কাড়জপত্র ভিজে যাওয়ার আশংকায় একটু গাদাগাদি করে ভেতরে ঢুকার চেষ্টা করে। এসময়ে মালয় সিকিউরিটিরা লাইনে দাঁড়ানো অপেক্ষমান প্রবাসী কর্মীদের উপর বিনা কারণে বেধরক লাঠি চার্জ করে প্রায় ৪০জন কর্মীকে আহত করে। এতে লাইনে দাঁড়ানো অসহায় কর্মীরা হতবাক হন। হাই কমিশনের দ্বিতলায় গিয়েও সিকিউরিটিরা অপেক্ষমান কর্মীদের বেধরক লাঠি চার্জ করে। কেউ কেউ লাঠি চার্জের ঘটনা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তোলার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসী সিকিউরিটিরা কর্মীদের ৪/৫টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে রাস্তার উপর ফেলে বুট জুতো দিয়ে পাড়িয়ে ভেঙ্গে ফেলে। মালয় সিকিউরিটিদের বর্বরোচিত হামলার শিকার হয়ে আগত অনেক কর্মী পাসপোর্ট না নিয়েই হাই কমিশন এলাকা ত্যাগ করেছে। মালয় সিকিউিরিটিদের সন্ত্রাসী হামলার বিষয়টি হাই কমিশনার শহিদুল ইসলামকে অবহিত করা হলে তিনি অজ্ঞাত কারণে নির্বিকার। কুয়ালালামপুর থেকে ভুক্তভোগি একাধিক কর্মী এতথ্য জানিয়েছে। কুয়ালালামপুর থেকে কুমিল্লা’র লাকসামের ট্যাক্সি ড্রাইভার মুজিব , শিবচারের মৃধারচর বেপারী কান্দি গ্রামের সোহাগ , সোনারগাও থানার চেংরাকান্দি গ্রামের রতন মিয়া, কক্সবাজারের কোরোসকুল গ্রামের নূরুল আফসার টেলিফোনে ইনকিলাবকে জানান, বাংলাদেশী হাই কমিশনের সন্ত্রাসী মালয় সিকিউরিটিরা গতকাল বৃষ্টির মাঝে দূরদুরান্ত থেকে হাই কমিশনে আগত প্রবাসী কর্মীদের উপর চড়াও হয়ে বেদম প্রহার করে কমপক্ষে ৫০জনকে আহত করেছে। এসব কর্মীদের একটাই অপরাধ বৃষ্টিতে তাদের কাগজপত্র না ভিজে এজন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। বাংলাদেশী নিরীহ অসহায় কর্মীরা সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রচন্ড রোদ্রে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন। আগত কর্মীদের জন্য কোনো ছাউনির ব্যবস্থাও করা হয়নি। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মালয় সিকিউরিটিরা অভিবাসী কর্মীদের গরুর মতো পিটিয়েছে। এ বর্বরোচিত হামলার দৃশ্য দেখে হাই কমিশনার নির্বিকার। জহুরবারু থেকে আগত রাসেল বলেন, হাই কমিশনে সাধারণ কর্মীদের কোনো মূল্যায়ন নেই। শুধু বিশেষ রাজনৈতিক হুমড়া চোমড়া ও চামচাদের জন্য হাই কমিশনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ব্যস্ত থাকেন। ভুক্তভোগি কর্মীরা বলেন, হাই কমিশন এখন দালাল চক্রর আড্ডা খানায় পরিনত হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।