বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অর্থনৈতিক রিপোর্টার: বিনিয়োগের আকর্ষনীয় স্থান হলেও বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় মুখোমুখি হতে হয় ব্যবসাীদের। এদেশে বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে এবং অনেক সময় ব্যয় করে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করতে হয়। একই সঙ্গে রয়েছে যাতায়াত এবং কাস্টমস সমস্যা। যদিও বিনিয়োগকারীদের এ ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিয়ে দ্রুত সেবা প্রদানে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) একটি ওয়ানস্টপ সার্ভিস তৈরির ঘোষণা দিয়েছে। যার কার্যক্রম আগামী ডিসেম্বর মাসে শুরু হবে। তবে এই সেবাটি দ্রুত শুরু না করায় বিনিয়োগকারীদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে জানান চীনা দূতাবাসের অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক কাউন্সিলর লি গুয়ানজুন। গতকাল রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে সিটি ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক আয়োজিত ‘মিট দ্যা প্রেস’ অনুষ্ঠানে এ তথ্য তুলে ধরেন তিনি। এ অনুষ্ঠানে আগামী ২১ আগষ্ট বেইজিংয়ে ‘চীন-বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম’ আয়োজনের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতি তুলে ধরে লি গুয়ানজুন বলেন, চীনের বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ একটি আকর্ষণীয় জায়গা। এখানে অবশ্যই তারা বিনিয়োগ করছে এবং ভবিষ্যতে আরও বাড়াবে। তবে দুটি সমস্যা এখানে রয়ে গেছে। বিডার ওয়ানস্টপ সার্ভিস কাজ করছে না। যে কারণে বিনিয়োগকারীদের কিছুটা অসুবিধায় পড়তে হয়। সস্তা শ্রম থাকলেও দক্ষ কর্মীর অনেক অভাব দেশটিতে রয়েছে বলে জানান তিনি। এ দিকটায় বাংলাদেশকে বিশেষভাবে নজর দেয়ার অনুরোধ জানান তিনি। তবে বাংলাদেশে ও চীনের মধ্যে যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে এতে করে নিকট ভবিষ্যতে প্রচুর চাইনিজ বিনিয়োগ এদেশে আসবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশে বছরখানেক আগে চাইনিজ প্রেসিডেন্টের সফরে জিটুজি ও বিটুবি বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন এমওইউ এর অগ্রগতি তুলে ধরেন। ইনফরমেশন সেন্টার, আইটি প্রজেক্ট, চিটাগংয়ে চাইনিজ ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পার্ক, একটি প্রজেক্টে ১ম ইন্সটলমেন্টের টাকা দেওয়াসহ বিভিন্ন কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
আগামী ২১ আগষ্ট চীনের বেইজিংয়ে ‘চীন-বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম’ শুরু হবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। বেইজিংয়ের ওয়েস্টিন ফিনান্সিয়াল স্ট্রিটে ইউরোমানি ইনস্টিটিউশনাল ইনভেষ্টর গ্রæপ এ সম্মেলনের আয়োজন করবে। এতে দুই দেশের প্রায় ৩০০ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের একটি সম্মেলন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সিটি ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চার্ডার্ড ব্যাংক এ সম্মেলনের প্রধান স্পন্সর। চীনে এ সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিবাচক ব্যবসার পরিবেশ বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে চান আয়োজকরা। বাংলাদেশ কেন লাভজনক ও নিরাপদ বিনিয়োগের উৎকৃষ্ট স্থান তাও তুলে ধরা হবে সম্মেলনে।
চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক সহযোগী এবং দুপক্ষের মধ্যে ব্যবসার পরিধি প্রতিনিয়ত প্রসারিত হচ্ছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ চীনের ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ উদ্যোগে যুক্ত হওয়া, বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিস্থিতি ইত্যাদি এ সম্মেলন আয়োজনের গুরুত্ব বাড়াবে বলে মনে করেন আয়োজকরা।
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল আর. কে. হুসেইন বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এ ধরনের বিনিয়োগ সম্মেলন আয়োজন করে সিটি ব্যাংক বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনা তুলে ধরতে চায়। চীন-বাংলাদেশের মধ্যে যে অর্থনৈতিক মেলবন্ধন রয়েছে তা এ সম্মেলনে আরো জোরদার হবে। ইতোমধ্যে ব্যাংকটি দেশে বিনিয়োগ বাড়াতে লন্ডন, সিঙ্গাপুর, হংকংসহ ৫টি দেশে এ রকম সামিটের আয়োজন করেছে।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, বাংলাদেশ- এর সিইও আবরার এ.আনোয়ার বলেন, আমরা বিভিন্ন পর্যায়ে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কাজ করছি। চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক থেকে শুরু করে সবাই আমাদের দেশের বিনিয়োগের বিষয়ে ভালো সহায়তা করছে। চায়না বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আমরা যে পর্যায়ের আলোচনা করছি সেটা এখন বাস্তবায়নের সময় হয়েছে। ‘চীন-বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ফোরামে’ অংশ নিতে এখন পর্যন্ত ১৩৭টি চীনা কোম্পানি নিবন্ধন করেছে বলে জানানো হয়। দ্বিপাক্ষীক এ ব্যবসায়িক ফোরামের আরও ১ মাস বাকি থাকায় নিবন্ধনকারী চীনা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩শতাধিক হতে পারে বলে মনে করছে আয়োজকরা। অনুষ্ঠানে চাইনিজ চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট লিন ওইকিয়াং সহ চাইনিজ বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।