Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যেকোনো সময় পাহাড় ধসের আশঙ্কা রামগড়ে পাহাড়ের পাদদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

| প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রামগড় (খাগড়াছড়ি) থেকে রতন বৈষ্ণব ত্রিপুরা : খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ে পাহাড়ের পাদদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো পাহাড় ধসের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। রামগড় পৌরসভার সোমাচন্দ্র কারবারিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাতাছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুবই ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে এ ঝুঁকি আরো বেড়ে যায়। কেননা প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ ফুট উঁচু পাহাড়ের পাদদেশে বিদ্যালয় দুটি অবস্থিত। যে কোন সময় পাহাড় ধসে বড় কোন দুর্ঘনার আশঙ্কায় রয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এক একর চল্লিশ শতাংশ জমির ওপর ১৯৬৮ সালে সোমাচন্দ্র কারবারিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষকসহ সর্বমোট চারজন শিক্ষক এবং ১৪০জন শিক্ষার্থী রয়েছে। অভিভাবক ফজলু মিয়া, আলী আজম, সুরেন্দ্র ত্রিপুরা জানান, ২০০৪ সালে পাহাড় ধসে টিনশেড বিদ্যালয়টি বিধ্বস্ত হয়েছিল। পরে এর পাশেই অপরিকল্পিতভাবে বর্তমান বিদ্যালয় ভবনটি নির্মাণ করা হয়। যা খাড়া পাহাড় ঘেঁষে নির্মিত। ভবনের পূর্ব দিকের শ্রেনি করে মেঝেতে দুই-তিন ফুট উঁচু মাটির স্তর পড়েছে। ভবন দিয়ে চুইয়ে ভেতরে পানি ঢুকছে। এমনি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ১৯৮০ সালে পাহাড় ঘেসে নির্মিত পাতাছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এদিকে পাতাছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবু রু¤্রচাই কার্বারী ও সোমাচন্দ্র কার্বারীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন কান্তি মজুমদার বলেন, স্কুলগুলোর সমস্যা উপলব্দি করছি। বৃষ্টি হলে শ্রেনী কক্ষে পাহাড়ের পানি ও বালি ঢুকছে। ১০০ থেকে ১৫০ ফুট উঁচু পাহাড়ের গা ঘেঁষে নির্মিত বিদ্যালয় ভবন দুটি অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। এর পরও সেখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ক্লাশ পরিচালনা করতে হচ্ছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ ইলিয়াছ আলী জানান, বিদ্যালয়ের সমস্যার ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি নিজে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সহযোগিতায় চেয়ারম্যান পার্বত্য জেলা পরিষদে আবেদন করা হয়েছে বলে জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাছির উদ্দিন ইনকিলাবকে বলেন, বিদ্যালয়গুলো সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
বিদ্যালয় দুটির ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল-মামুন মিয়া এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যালয় দুটি সরেজমিনে আমি পরিদর্শন করেছি। বিদ্যালয়গুলোর সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে শিক্ষা বিভাগের উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে লিখিতভাবে জানানো হবে বলে জানান। বিদ্যালয় বন্ধের বিযয়ে তিনি বলেন স্বস্ব প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, পরিচালনা কমিটি, অভিবাবক, শিক্ষাকর্মকর্তাসহ সিদ্ধান্ত গ্রহন করে পরর্বতীতে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ