Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে চন্দনাইশের অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো

| প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) থেকে এম.এ. মোহসীন : চট্টগ্রামের চন্দনাইশে গত মাসে দফায় দফায় বন্যায় ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার প্রায় সর্বত্র প্লাবিত হয়েছে। এতে করে উপজেলার পল্লী এলাকার সড়কগুলোর বেহালদশা। যান চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। কোন কোন রাস্তা-ঘাটের দুই পাশে ভেঙ্গে পড়েছে ও কোন কোন রাস্তার কার্পেটিং উঠে গিয়ে যান চলাচলসহ মানুষের চলাফেরার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। উপজেলা সদরের সাথে গাছবাড়িয়া সংযুক্ত সড়ক, আবদুল বারিরহাটের সাথে সংযুক্ত সড়ক ও চন্দনাইশ সাতবাড়িয়া আশরফ মহুরিহাট হয়ে দেওয়ানহাট মহাসড়ক ও বৈলতলী ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন রাস্তা-ঘাটসহ চন্দনাইশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সড়কের খানা খন্দকসহ রাস্তার কার্পেটিং উঠে গেছে। এতে করে যানবাহন চলাচলে চরম ভোগান্তিতে যাত্রী সাধারণ দিনাতিপাত করছে। সাতবাড়িয়া মহুরি হাটস্থ সড়কে পথচারী মোঃ শহিদুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম জানান, বৈলতলী হয়ে সাতবাড়িয়া মহুরিহাট সড়কের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া দেওয়ানহাট সংযুক্ত সড়কের এই পথে দিনে-রাতে হাজার হাজার মানুষ, চাকরিজীবি, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীসহ অসংখ্য ব্যবসায়ীরা যাতায়ত করে থাকেন। এখান কার কৃষকদের উৎপাদিত সতেজ সজিব তাজা তরকারি দোহাজারী এশিয়া মাঠে প্রতিদিন সকালে এই সড়ক দিয়ে বিক্রর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এই রাস্তার কার্পেটিং উঠে যাওয়ার যাত্রীবাহি যানবাহনগুলো অতি ধীরগতিতে চলাচল করতে গিয়ে যাত্রী সাধারণের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে। আবদুল বাড়িরহাটস্থ আবু তাহের জানান, এই রাস্থাগুলো দুই ধারে ভেঙ্গে গিয়ে কার্পেটিং ওঠে যাওয়ায় যাত্রী সাধারনের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে। অপর দিকে বাগিচাহাট হয়ে সাতবাড়িয়া সড়কেরও বেহাল দশা।তাছাড়া সাতবাড়িয়া ভগবানহাট হয়ে হাজির পাড়া স্কুলে সামনে দিয়ে বয়ে যাওয়া নগর পাড়া মহুরি হাটের সাথে সংযুক্ত ব্রিক সলিন সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বরকল মৌলভী বাজার থেকে ছালামতিয়া মাদ্রাসা হয়ে বটতল পর্যন্ত রাস্তার গর্তের ফলে স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীসহ সাধারণ মানুষের চলাচলের দুঃখ-দুর্দশা আর দুর্ভোগের অন্ত নেই। চন্দনাইশ উপজেলার অভ্যন্তরীণ ইউনিয়নগুলোর জড়াজীর্ণ রাস্তা-ঘাট সংস্কারের জন্য এলাকার জনসাধারণ উর্ধোতন কতৃপক্ষের আশুব্যবস্থা কামনা করছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ