Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নতুন পদ্ধতিতে খাতা মূল্যায়নে পাসের হার কমেছে -শিক্ষামন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করায় সার্বিকভাবে পাসের হার কমেছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, পাসের হার কম হলেও এতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ উত্তরপত্র মূল্যায়নে অবমূল্যায়ন বা অতিমূল্যায়ন রোধে বোর্ডসমূহ বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এটা শিক্ষাকে আরও উন্নত করার পথ। গতকাল (রোববার) এইচএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ উপলক্ষ্যে সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগে পরীক্ষার খাতা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হতো না বলে অভিযোগ পেয়েছি। এতে দেখা যেত ভালো ছাত্ররা খারাপ আর খারাপ ছাত্ররা ভালো রেজাল্ট করতো। হাস্যরস করে অনেকেই বলতো খাতার ওজন দেখে নম্বর দেওয়া হয়। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ এক্সামিনেশন ডেভেলপমেন্ট ইউনিট (বেডু) গঠন করা হয়। এটি গত তিন বছর ধরে কাজ করছে। শিক্ষক ও হেড এক্সামিনার ঠিকমতো খাতা দেখছেন কিনা তা তার খতিয়ে দেখে। বেডু কাজ করার পর থেকে পরীক্ষা ফলাফলে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। এসএসসি পরীক্ষার খাতা বেডু দ্বারা পুনঃমূল্যায়ন করা হয়েছিল। ফলে দেখা গেছে পাসের হার শতকরা ৮ শতাংশ কমেছে। গত চার বছর প্রশিক্ষণ দিয়ে এটা করা হয়েছে। তিনি বলেন, পরীক্ষকগণের মাধ্যমে উত্তরমালা প্রণয়ন করা হয়। সেই উত্তরমালার আলোকে উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য পরীক্ষকগণকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়। পরীক্ষকদের উত্তরপত্র মূল্যায়নের গুণগতমান যাচাইয়ের জন্য একটি প্রশ্নপত্র প্রধান পরীক্ষকগণকে সরবরাহ করা হয়। প্রত্যেক পরীক্ষকের মূল্যায়ন করা উত্তরপত্রের ১২ শতাংশ উত্তরপত্র প্রধান পরীক্ষকের পুনঃমূল্যায়ন করা বাধ্যতামূলক।
শিক্ষার গুণগত মান অর্জন করাই বড় চ্যালেঞ্জ মন্তব্য করে নাহিদ বলেন, সবচেয়ে বড় কথা আমরা শিক্ষার মান অর্জনের চেষ্টা করছি। শিক্ষকদের মধ্যে তো সমস্যা আছে। এটি কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করছি। মান বেড়েছে, তবে গুণগত মান বৃদ্ধি করা বড় চ্যালেঞ্জ। এটি শুধু বাংলাদেশের না সারা বিশ্বের চ্যালেঞ্জ। আমরা সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কুমিল্লা বোর্ডের ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ফলাফল মূল্যায়ন না করে বলা ঠিক হবে না।’ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যারা ফেল করছে তাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। একটি পরীক্ষায় পাস না করলে জীবনের সব কিছু পাল্টে যায় না। আগামীতে আরও পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ আসবে। ভেঙে পড়লে চলবে না। চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আগের বছরের ঝরে পড়া ও ফেল করা শিক্ষার্থীরা গত বছরের মূল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল বলে সংখ্যা বেশি ছিল। এ বছর ঝরে ও ফেল করা ছাত্র কম। এ বছর শিক্ষার্থীরা জেনুইন।’ তিনি বলেন, ‘বিজ্ঞানের ছাত্র কমে যাওয়ায় আমাদের জন্য আতঙ্কের বিষয় ছিল। বিজ্ঞানের ছাত্র বাড়ানো জন্য আমরা ক্যাম্পইন করছি, শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছি এবং যন্ত্রপাতিও কেনা হয়েছে। ফলে এ বছর বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী বেড়েছে। এ বছর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২ লাখ ২৪ হাজার ৩৫২ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। পাস করেছে এক লাখ ৭৮ হাজার ২২০ জন। পাসের হারে ৮৩ শতাংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত বছর যে পদ্ধতিতে ভর্তি হয়েছে সেই পদ্ধতিতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিক্ষামন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ