রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
যশোর ব্যুরো : মাছ উৎপাদনে যশোরের চাষিরা বরাবরের মত এবারও সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে। জেলার চাহিদার চেয়ে প্রায় আড়াই গুন বেশি মাছ উৎপাদন হচ্ছে। উদ্বৃত্ত মাছ পার্শ্ববর্তি দেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩১লাখ ৯০হাজার ৯শ’৮০ মার্কিন ডলার আয় হয়েছে। এই তথ্য যশোর জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. শেখ শফিকুর রহমান জানান, মাছ চাষ ও উৎপাদনে যশোরের সাফল্য ধরে রাখতে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এরমধ্যে নয়টি মৎস্য অভয়াশ্রম স্থাপন অন্যতম। এ অভয়াশ্রমগুলি হলো যশোর সদরের বুকভরা বাওড়, মণিরামপুরে খাটুরা ও খেদাপাড়া, অভয়নগরের পোড়াখালী, ঝিকরড়াছার উজ্জ্বলপুর, কেশবপুরের মর্শিনা বাওড়, শার্শায় কন্যাদহ, বাঢ়ারপাড়ার চিত্রা নদী ও চৌগাছার বেড়গোবিন্দপুর বাওড়। এসব অভায়াশ্রমে ২৯ লাখ ১৬ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়।
সুত্র জানায়, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে যশোরে কার্ফ জাতের (সাদা) মাছের উৎপাদন হয়েছে ২লাখ ২৪ হাজার ৭শ’ ৬৭ মেট্রিক টন। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত রয়েছে ১লাখ ৬৪হাজার ২শ’ ২৩ মেট্রিক টন। এদিকে সাদাসোনা চিংড়ি ও বাগদা‘র উৎপাদন হয়েছে ৬হাজার ৭শ’৫১ মেট্রিক টন। এরমধ্যে গলদা চিংড়ির উৎপাদন হয়েছে ৬হাজার ৩শ’১১ মেট্রিক টন এবং বাগদার চিংড়ির উৎপাদন হয়েছে ৪শ’৪০ মেট্রিক টন। যার সবই মংলা ও চিটাগং পোর্ট দিয়ে ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্টে রপ্তানী করা হয়েছে।
সুত্র জানায়, সারাদেশে মাছ উৎপাদনে যশোর জেলার অবস্থান দ্বিতীয় জেলার জলায়তন রয়েছে ৭৫লাখ ৪৮হাজার ৪শ’ ৪০ হেক্টর। এরমধ্য বদ্ধ পুকুর ও বাওড়ের জলায়তন ৪১ হাজার ৪শ’ হেক্টর ও উন্মক্ত জলাশয়ের আয়তন ১৯ হাজার ৫শ’৭ হেক্টর। জেলার উৎপাদিত মাছের মধ্য রয়েছে রুই, কাতল, মৃগেল, বাগদা, বাগদা, গলদাচিংড়ি, পাঙ্গাস ও কৈ মাছ ইত্যাদী। এই মাছ জেলার চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত মাছ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলসহ ভারতসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানী করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।