পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মজলিসের শুরা ও বার্ষিক কাউন্সিলে দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেছেন ইসলাম, মুসলমান, দেশ, পাঠ্যসূচী, সংস্কৃতি ও ওলামায়ে কেরামকে নিয়ে গভীর চক্রান্ত চলছে। এসব চক্রান্তের জাল ছিন্নভিন্ন করতে ওলামায়ে কেরামেকে ময়দানে নেমে আসতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষায় যে কোন ত্যাগ স্বীকারে দেশবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী মজলিসে শুরা ও বার্ষীক কাউন্সিল অধিবেশনে তারা এ আহ্বান জানান। অধিবেশনে বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিগণ স্ব-স্ব জেলার সাংগঠনিক মত রিপোর্ট পেশ করেন এবং সংশোধিত গঠনতন্ত্র সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেন। দলের সভাপতি আল্লামা শায়েখ আব্দুল মু’মীনের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠিত উক্ত অধিবেশন সঞ্চালনা করেন যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া ও মাওলানা তাফাজ্জল হক আজিজ। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নাল আবেদীন।
সভাপতি বক্তব্যে মাওলানা আব্দুল মু’মীন বলেন, বাংলাদেশের উলামায়ে কেরামকে বিভক্ত করার জন্য একটি মহল অত্যন্ত সু² ভাবে চক্রান্ত করছে। এসব চক্রান্ত নস্যাৎ করতে উলামা কেরামকে ঐক্যবদ্ধভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের মধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষার্থে যেকোন ত্যাগ স্বীকারে দেশবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে।
দলের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, নাস্তিক-মুর্তাদরা এদেশের শিক্ষা কারিকুলামকে বি-জাতীয় করার চক্রান্ত করছে। তারা সু-সংগত একটি শিক্ষা ব্যবস্থায় নাস্তিক্যবাদ প্রতিষ্ঠায় উঠেপড়ে লেগেছে। তিনি বলেন, সংশোধিত পাঠ্য পুস্তকে যদি আবারও হাত দেওয়া হয় তাহলে এর পরিনতি হবে ভয়াবহ। ইসলামপ্রিয় জনতা তখন আবারও ফুসে উঠবে। তখন সরকারের পক্ষে তা সামলানো অসম্ভব হবে। আল্লামা কাসেমী আরো বলেন, যারা বাংলাদেশকে মুর্তি দেশে পরিনত করতে চায় তারা দেশের শত্রু, জনগণের শত্রু। তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে।
মাওলানা জহিরুল হক ভুঁইয়া বলেন, বর্তমান ওলামায়ে কেরামকে তাদের পূর্বপুরুষদের বিরত্বগাথা ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না। অপশক্তি যে পথে আসুক শক্তভাবে তা মোকাবেলা করাই সত্যিকার ঈমানদারের পরিচয়।
মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী বলেন, আজ আমাদের দেশে মানবতার চরম বিপর্যায় ঘটেছে। ধনাঢ্য ছেলে নিজ জন্মদাতা বাবার লাশ গ্রহণে অনীহা প্রকাশ করে দেশের বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব পাঠ্য-পুস্তক নিয়ে চক্রান্তকারীদের হুশিয়ার করে দিয়ে বলেন, এ জঘন্য চক্রান্ত বন্ধ না হলে কঠোর কর্মসূচী দিয়ে তা বন্ধ করা হবে।
আল্লামা ওবায়দুল্লাহ ফারুক সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করে বলেন, আলেম সমাজকে রাজনৈতিক ময়দান ত্যাগ করলে চলবে না। রাজপথে নেমেই সকল অপশক্তির মোকাবেলা করতে হবে।
এ্যাডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী বলেন, আমরা এদেশে ইসলাম বিদ্বেষীদের আস্ফলন কখনো বরদাশত করব না। আন্দোনের মাধ্যমে মূর্তি অপসরণ ও নির্মূল করতে বাধ্য করা হবে।
মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী দলের সংশোধীত গঠনতন্ত্র পাঠ শেষ করলে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত কাউন্সিলর গণের স্বতঃস্ফুত কণ্ঠোভোটে তা পাশ হয়। অতঃপর মাওলানা আফেন্দী বলেন, এদেশের সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ৯৫ শতাংই মুসলমান। সুতরাং এদেশে যারা রাজনীতি করেন এবং ক্ষমতায় থাকতে কিংবা যেতে চান তাদেরকে এই ৯৫ শতাংশ মুসলমানের ধর্মবিশ্বাসের আলোকেই চলতে হবে।
অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন মাওলানা শেখ মুজিবুর রহমান, মাওলানা মোহাম্মাদ উল্লাহ জামী, মাওলানা আব্দুল হক কাউছারী, ও মাওলানা আব্দুল মালেক চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও জেলা নেতৃবৃন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।