Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শতভাগ পল্লীবিদ্যুতায়নের অপেক্ষায় রূপগঞ্জবাসী

| প্রকাশের সময় : ২২ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম


খলিল সিকদার, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) থেকেঃ শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আসছে রূপগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দারা। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর অবশেষে রূপগঞ্জের প্রায় ২ লাখ আবাসিক গ্রাহক পাচ্ছে এ বিদ্যুৎ সুবিধা। শিল্পনগরী খ্যাত রূপগঞ্জের শিল্পকারখানা ছাড়াও আবাসিক এলাকায় এসব সংযোগ প্রদান করে সরকারের ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন নারায়ণগঞ্জ পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-২। সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মোট ১৩শ’ ৭৫ কিলিমিটার বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় ১১শত ৬৮ কিলোমিটারে এ যাবৎ বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হয়েছে। বাকি ২০৭ কি.মি. বিদ্যুৎ সংযোগ দিলেই শতভাগ বিদ্যুতের তালিকায় নাম ওঠবে এ উপজেলার। তাতে রূপগঞ্জ উপজেলাও হবে আলোকিত উপজেলার অন্যতম ।
সমিতি সূত্রে জানায়, নারায়ণগঞ্জ পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আঁওতায় শতভাগ বিদ্যূৎ পেতে যাচ্ছে এ অঞ্চলের বাসিন্দারা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পাওয়ার প্রতিশ্রæতির বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশের বেশ কয়েকটি উপজেলাকেই শতভাগের অধীনে নেয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় রূপগঞ্জ উপজেলাতেই শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে যাচ্ছে সরকার। আর এ কাজ শেষ হবে আগামী ডিসেম্বরের আগেই। এমনটাই দাবি করছেন সমিতি কর্তৃপক্ষ।
সূত্র আরো জানায়, বিদ্যুৎ বিভাগের (পবিস নারায়ণগঞ্জ-২) সমিতি নামে ২০১৫ইং সনে নতুন করে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। তারা এর আগে একই অঞ্চলের নারায়ণগঞ্জ-১ এর অধীনে ছিল। কাজগুলো ঝিমে তালে করায় তৎকালীন এ এলাকায় গ্রাহক হয়রানীর অন্ত ছিল না। পরে সমিতি-২ এর অধীনে রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভা ব্যতিত ৩৬১ বর্গ কি.মি. নারায়ণগঞ্জের দুটি উপজেলা আড়াইহাজার ও রূপগঞ্জ নিয়ে তাদের কার্য্যক্রম শুরু হয়। এর মাঝে শতভাগের তালিকাভুক্তিতে বিশেষ প্রকল্প হাতে পায় সমিতিটি। তাতে ব্যস্ততা বেড়ে যায় এ প্রতিষ্ঠানেরও। এ বিশাল আয়তনের পরিচালনার জন্য আড়াইহাজার, গোপালদী ও পূর্বাচলে রয়েছে তিনটি জোনাল অফিস।
সূত্র আরো জানায়, এ পর্যন্ত সমিতি থেকে ১৮টি ইউনিয়নের ৫৮৫টি গ্রামকে বিদ্যু সংযোগের আওতায় আনা হয়েছে। এসব এলাকায় নতুন নতুন বসতি ও শিল্প কারখানা গড়ে তোলায় ক্রমেই এ সংযোগ চাহিদা বাড়ছে। বর্তমানে এর আবাসিক গ্রাহক সংযোগ ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ৫শত ৯৫টি, বাণিজ্যিক সংযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ৬ হাজার ৯২টি, সেচ ১ হাজার ৬শত ৫৯টি, জিপি ৬ হাজার ১ শত ৪৭টি, এলপি ৩শত ৪৪টি, দাতব্য প্রতিষ্ঠানসহ ১ হাজার ৭শত ৪৫টি, রাস্তার বাতি১শত ১৫টি।
সমিতির কার্য্যক্রমে এ পর্যন্ত ৩৩/১ কেভিতে ৯টি উপকেন্দ্রের মাধ্যমে চলছে সেবা কার্য্যক্রম। আর ব্যবহার আনুপাতিক হারে এ সমিতির চিত্রে দেখা যায়, আবাসিক গ্রাহক রয়েছে ৯০দশমিক ৬২ শতাংশ। তারা বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে মাত্র ৩২ দশমিক ১০ শতাংশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ