Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডাক্তার সঙ্কটে ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা রোগীদের ভোগান্তি চরমে ৩২ জনের স্থলে চিকিৎসক মাত্র ৩ জন

চাটমোহর ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

| প্রকাশের সময় : ২২ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম


আফতাব হোসেন চাটমোহর, পাবনা থেকে : পাবনার চাটমোহরে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সঙ্কট চরম আকার ধারণ করেছে। এ কারনে রোগীদের চিকিৎসাসেবা চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। ৩২ জন চিকিৎসকের স্থলে মাত্র ৩ জন চিকিৎসক রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকেন। একজন এমবিবিএস ডাক্তারকে রাত্রীকালীন দায়িত্ব পালন করতে হয়। ফলে দিনের বেলা আউটডোরে রোগি দেখেন মাত্র একজন। এক্ষেত্রে উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসারদের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে আগত শ’শ’ রোগিকে। আবাসিক মেডিকেল অফিসারকে একাই বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। জানা যায়,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০শয্যা বিশিষ্ট বেডে উন্নতি করা হয়। কিন্তু ৫০ শয্যার হাসপাতালের জন্য যে জনবল প্রয়োজন তাও দেওয়া হয়নি। মাঝে কিছু সহকারী সার্জন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এখানে নিয়োগ দেওয়া হলেও, তারা বিভিন্ন সময় রাজধানী, রাজশাহী বা জেলা সদরে বদলী হয়ে চলে গেছেন। দু’জন চিকিৎসক দীর্ঘদিন যাবত অনুপস্থিত। তাদের একজন নাকি ভারতে বসবাস করছেন। ফলে চিকিৎসক সংকটের কারনে রোগীরা প্রয়োজনীয় সেবা পাচ্ছেন না।
সরজমিনে দেখা যায়,আবাসিক মেডিকেল অফিসার স ম বায়েজিদ হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের দেখাশোনা করছেন একটানা ২৪ ঘন্টা। জরুরী বিভাগে রয়েছেন উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার। আউটডোরে রোগি দেখতে হিমশিম খাচ্ছেন উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার মোঃ মতিউর রহমান। বহির্বিভাগের সামনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে চিকিৎসা নিতে এসেছেন ২ শতাধিক রোগী। যা ওই ৩ জন চিকিৎসক চিকিৎসা দিতে হিমশিম হয়ে পড়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা.আবুল হোসেন বলেন, উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রতিদিন অনেক রোগী আসেন চিকিৎসা নিতে। আবার অনেকেই ভর্তি হয় হাসপাতালটিতে। ৫০ শয্যার হাসপাতালে গড়ে রোগি ভর্তির হার ১১৭ শতাংশ। ৬০ জনের বেশী রোগি নিয়মিত ভর্তি থাকেন। এ কারণে মাত্র ৩ জন চিকিৎসক মিলে রোগীদেরকে সামলাতে অনেক হিসসিম খেতে হয়। এ ছাড়াও ডিউটি করতে হয় আমাদেরকে সর্বক্ষন। এর মধ্য আবার কারো কারো ট্রেনিং বা ছুটি থাকলেতো কথাই নেই।
তিনি জানান, চিকিৎসক সংকটের বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। এছাড়াও প্রতিমাসে লিখিত প্রতিবেদন দেয়া হয়। ডা.আবুল হোসেন আরো বলেন,আমরা এখানে সিজারের জন্য প্রয়োজনীয় ওটি তৈরি করেছি,কিন্তু ডাক্তার মিলছে না। তাছাড়া প্রসূতি সেবায় সার্বক্ষনিক কাজ জরা হচ্ছে। সকল প্রকার ডেলিভারী এখানে করানো হয়। ‘জরুরি প্রসূতি সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। আমরা স্বল্প জনবল দিয়ে রোগিদের সেবা দেবার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ