Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সালাহ উদ্দিন আহমদ দেশে ফেরার প্রতীক্ষায় প্রহর গুণছেন কক্সবাজারের অর্ধকোটি মানুষ

| প্রকাশের সময় : ২২ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

জাকের উল্লাহ চকোরী, কক্সবাজার থেকে : কক্সবাজার জেলার চকরিয়া-পেকুয়া আসন থেকে ৩বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমানে কেন্দ্রীয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ কবে দেশে ফিরবেন তার প্রতিক্ষায় প্রহর গুনছেন জেলার অর্ধকোটি মানুষ। গত ২০১৫ সালে ভারতের শিলং পুলিশ রাস্তার ধারে অসুস্থ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। এরপর ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। গত ২বছর ধরে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। তার ঘনিষ্টজন সুত্রে জানা গেছে, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই রায় হবে ওই মামলার। ভারতের শিলং থেকে মামলা শেষে বাংলাদেশে ফিরতে তিনি ব্যাকুল হয়ে আছেন।
কক্সবাজার জেলার কোন নেতাই দলের সর্বোচ্চ পদে আসীন নেই। আওয়ামীলীগের মতো প্রাচীনতম দলে জাতীয় পর্যায়েতো দুরের কথা জেলার উচ্চ পদে কেউ আসীন নেই। তাই জেলার সর্ব দল ও মহলে কক্সবাজার থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে সালাহ উদ্দিন আহমদকে পেয়ে জেলাবাসী খুশি ও গর্বিত। পেকুয়া
উপজেলার সিকদার পাড়া গ্রামে তার জন্ম। লেখাপড়ায় মেধার পরিচয় দেওয়ায় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে চাকরিও করেছেন। এক সময় সরকারী চাকরি ছেড়ে দিয়ে বিএনপি’র রাজনীতিতে যোগদান করে মেধার পরিচয় দেন। হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস, সংসদ সদস্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী। এরপর কক্সবাজার জেলায় উন্নয়নের রুপরেখা তৈরি করে উন্নয়নের মাষ্টার প্লান তৈরী করেন তিনি। তার আমলে পেকুয়াকে উপজেলা ঘোষাণাসহ বিশেষত রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ, কালভার্টসহ বিভিন্ন সেক্টরে যে সব উন্নয়ন হয়েছে তাহা জেলায় বসবাসরত অর্ধকোটি মানুষের মনে আজীবন স্বরণ রাখার মতো এক অনন্যা দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে। গত ১/১১ থেকে জেল জুলমের শিকার হলেও বিএনপি রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে আসছিলেন তিনি। পরে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহন করলে বেশকটি মামলার আসামী হয়ে কিছু সময় পলাতক আবার জামিনে বের হয়ে দলীয় মুখপাত্রের ভুমিকা পালন করেন। সর্বশেষ বিএনপি’র দুঃসময়ে বিএনপি’র সিনিয়র নেতারা গাঁ ডাকা ও সংস্কার পন্থির আশ্রয় নিলে তিনি দলের জন্য ব্রত হয়ে দলীয় হাল ধরেন। গোপন অবস্থায় থেকে মিডিয়াতে বিএনপি’কে বাঁচিয়ে রাখেন। ঢাকার উত্তরা থেকে অপহরণের শিকার হয়ে কয়েক মাস গুম ছিলেন। এ সময় তার স্ত্রী সাবেক এমপি হাসিনা আহমেদের মামলা, তৎবীর ও কক্সবাজারবাসীরা ব্যাপক আন্দোলন শুরু করেন।
সালাউদ্দিন আহমেদের ভাতিজা সবসময় বিদেশে আর দেশে তার দেখভাল করা সাংবাদিক ছফওয়ানুল করিম বলেন, আমার কাছ থেকে জেলার দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের লোকজন সালাউদ্দিন আহমদের খোঁজ খবর নেন। তার মামলা ও শারীরিক অবস্থা কেমন আর দেশে কখন আসছে তার জন্য ফোনে অথবা সরাসরি এসে জানতে চান। এটি জেলাবাসীর ভালবাসার বহিপ্রকাশ। আমার জানা মতে তার জন্য জেলাবাসী ব্যাকুল হয়ে আছেন। তিনি আরো জানান, মামলাটি শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তিনিও দেশে ফিরে আসার জন্য ব্যাকুল হয়ে আছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ