Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঝিনাইদহে কারখানায় আগুন বিদেশিসহ দগ্ধ চার ৫০ লাখ টাকার সম্পদ ভস্মীভূত

প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ৩:৪৬ পিএম, ১০ মার্চ, ২০১৬

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : ঝিনাইদহ সদর উপজেলার অচিন্তনগর গ্রামে আজ বৃহস্পতিবার তাজি অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড নামে একটি ফ্যাক্টরিতে ভয়াবহ আগুনে এক বিদেশীসহ চার ব্যক্তি দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের মধ্যে ফ্রাংক নামে একজন বিদেশি নাগরিক রয়েছেন। তিনি ওই কোম্পানির টেকনিশিয়ান হিসেবে কর্মরত। আহত অন্যান্যরা হলেন, জালাল উদ্দীন, মনিজান ও যুবায়ের রহমান। এর মধ্যে ফ্রাংক ও জালাল উদ্দীনের অবস্থা আশংকা জনক। দুপুরে ফ্রাংককে হেলিকপ্টার যোগে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেওয়া হয়। আগুনে প্রায় ৫০ লাখ টাকার সম্পদ ভস্মীভূত হয়েছে বলে মালিক পক্ষ থেকে প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়েছে। ঝিনাইদহ দমকল বাহিনীর স্টেশন অফিসার মিয়রাজ উদ্দীন জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে তাজি অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রির একটি কন্টিনারে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে ঝিনাইদহ, মাগুরাসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে দমকল বাহিনীর অন্তত ৫/৬টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তিনি আরো জানান, কন্টিনারের মধ্য থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৫০ লাখ টাকার ঊর্ধ্বে হবে বলেও তিনি জানান। এদিকে আগুনের ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়লে ফ্যাক্টরির মধ্যে ৬০/৭০ জন কর্মচারী আটকে পড়ে। পরে তাদের দমকল বাহিনীর সদস্য নিরাপদে বের করে আনে। ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান হাফিজুর রহমান জানান, কন্টিনার গাড়িতে লোড দেওয়ার সময় দেখে আগুনের ফুলকি। এ সময় তারা কন্টিনারের মুখ খোলা মাত্রই আগুনে দগ্ধ হন এক বিদেশীসহ চার জন। হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধ ফ্রাংকের স্ত্রী মারিয়া, জেলিন ও মারকস নামে তিন বিদেশিকে বিধ্বস্ত ও শোকাহত দেখাচ্ছিল। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সকালের দিকে অচিন্তনগর তাজি অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড নামে একটি কারখানায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তাজি অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের ম্যানেজার জুবায়ের রহমান জানান, ২০১৪ সালে চিন ও বাংলাদেশের যৌথ মালিকানায় প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির বাংলোদেশি মালিক নাজমুল হাসান ও চায়না মালিক মি: উ। এলাকাবাসি জানান, চায়না তাজি অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিতে পাটকাটি পুড়িয়ে ছাই তৈরি করা হয়। এই ছাইয়ের মধ্যে কেমিক্যাল মিশিয়ে কন্টিনারজাত করে করে চায়না পাঠানো হয়। হাই কোয়ালিটির ছাই দিয়ে গোলাবারুদ এবং নিম্নমানের ছাই দিয়ে বিভিন্ন ধরণের কালি তৈরি করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ