Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ছাগলনাইয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী রনিকে খুঁজছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী

| প্রকাশের সময় : ২২ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ছাগলনাইয়া (ফেনী) উপজেলা সংবাদদাতা : ছাগলনাইয়ার ঘোপাল এলাকায় মোশারফ হোসেন রনি ও তার বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। ২টি হত্যাসহ ২৫টি মামলার আসামি রনি ও তার বাহিনী চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজী, খুন, রাহাজানী, জমি জবর দখল ও সরকারি লেক দখলসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ঘোপালবাসীকে জিম্মি করে রেখেছে। প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি ও সেবন করলেও রনি ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে নির্যাতন ও নিপীড়নের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না। তার বাহিনীর অত্যাচার নির্যাতনে অতিষ্ঠ এলাকার অনেক ব্যবসায়ী, প্রবাসী, এলাকা ছেড়ে শহরে পাড়ি জমিয়েছে। আর এসব অপকর্মের ইন্দন দেন তার পিতা হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি মহি উদ্দিন। এলাকাবাসী রনি ও তার বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানিয়েছে প্রশাসনের কাছে। জানা গেছে, রনি ও তার বাহিনীর সদস্যরা ২০১২ সালের ১ সেপ্টেম্বর সকালে উত্তর লাঙ্গল মোড়া গ্রামের মনা হাজী বাড়ীর জাহাঙ্গীরের ঘরে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ তার সহযোগী আক্তার হোসেনকে একটি দেশীয় তৈরী এলজি ও ৩টি কার্তুজসহ আটক করে। এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে রনিসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ছাগলনাইয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে। গত প্রায় ৪ বছর পূর্বে ডাকাতির টাকা ভাগ বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে তার আপন বড় ভাই জাফরকে তার পিতা মহি উদ্দিন ভাই আনোয়ার ও সাদ্দামসহ সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে পেট্টোল ঢেলে হত্যা করে। এ ব্যাপারে জাফরের স্ত্রী বিবি আয়েশা বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে ফেনীর আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে আদালতের নির্দেশে হত্যার প্রায় ৩ মাস পর ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলনও করা হয়। গত ২০১৪ সালের ৩০ জুন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছাগলনাইয়ার দৌলতপুর এলাকায় মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে র‌্যাব-৭ ফেনী আঞ্চলিক ক্যাম্পের সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে র‌্যাব একটি বিদেশী এসএমসি একটি দেশীয় তৈরী এলজি, ১টি পাইপগান, ১টি রকেট ফ্লেয়ার, ৬টি পাইপগানের কার্তুজ, ১৯টি চকলেট বোমা, ২টি দেশীয় তৈরী কিরিজ উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে র‌্যাব বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে ছাগলনাইয়া থানায় রনি বাহীনির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। গত ২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রাতে উপজেলার পুরাতন মুহুরীগঞ্জ বাজারে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে র‌্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের সদস্যরা পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী রনিকে ১টি দেশীয় তৈরী ওয়ান শুটারগান ও ২টি শর্টগানের কার্তুজসহ আটক করে। ঘোপাল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী জানান, পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী মোশারফ হোসেন রনিকে পুলিশ, র‌্যাব ও ডিবি হন্য হয়ে খুঁজছে। বিগত ৬ মাসও তাকে এলাকায় কেউ আসতে দেখেনি। এত বড় মাপের একটি সন্ত্রাসী এলাকায় আসবে আর আমরা (পুলিশ) বসে বসে আঙ্গুল চুশবো এটা হয়না। রনির বিরুদ্ধে ২৫/২৬ টি মামলা রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ