Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাওনা টাকা চাওয়ায় নির্যাতনে আলোর মুখ দেখেনি ৫ মাসের গর্ভের সন্তান

| প্রকাশের সময় : ২২ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্বামীর পাওনা টাকা চাওয়ায় প্রতিবেশীর নিষ্ঠুর নির্যাতনে আলোর মুখ দেখলো না ৫ মাসের গর্ভের সন্তান। জানা যায়, গৃহবধূ হীরা আক্তারকে দেনাদাররা নিষ্ঠুর নির্যাতন করেন। বর্তমানে গৃহবধূ হীরা আক্তারের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানা গেছে। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের মাছিমপুর কান্তিকপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধূর স্বামী রাজু জানান, তিনি তার প্রতিবেশী মামুনের কাছে ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে একটি মোবাইল ফোন বিক্রি করেন। এর মধ্যে মামুন রাজুকে ৭ হাজার ৫শ’ টাকা পরিশোধ করেন। বেশ কয়েকবার রাজুর প্রতিবেশী মামুনের কাছে টাকা চাইলেও দেই দিচ্ছি বলেও টালবাহানা শুরু করেন। শুক্রবার সকালে মামুনের বাড়িতে গিয়ে তার কাছে গৃহবধূ হীরা আক্তার তার স্বামী রাজুর পাওনা টাকা চায়। পাওনা টাকা চাইলে মামুন, স্ত্রী মনি বেগম, ভাই রিপন, বোন জামাই জাহিদুল, মা জানু বেগম, বোন রোকসানা, সাথী ক্ষিপ্ত হয়ে গৃহবধূ হীরা আক্তারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। প্রতিবেশীদের গালাগালাজে বাঁধা প্রদান করে হীরা আক্তার তার বাড়িতে চলে যান। এর জের ধরে প্রতিবেশী মামুন ও তার পরিবার হীরা আক্তারের বাড়িতে প্রবেশ করে বাড়ি-ঘর ভাঙচুর শুরু করেন। এ সময় তাদের বাঁধা দিলে মামুনসহ তার পরিবারের লোকজন হীরা আক্তারকে নির্যাতন করে তার পেটে লাথি দিয়ে ৫ মাসের গর্ভের সন্তানকে গর্ভপাত করেন। এসময় হীরা আক্তারের চিৎকারে স্বামী রাজু এগিয়ে আসলে মামুন ও তার পরিবারের লোকজন তাকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে প্রতিপক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, এ ধরনের একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ