Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পরিবার-পরিকল্পনার ধারণা নেই ছাগলনাইয়ার ৩ কলোনির মানুষ

খাতাপত্রেই লিপিবদ্ধ এনজিও’র কার্যক্রম

| প্রকাশের সময় : ২২ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, ছাগলনাইয়া (ফেনী) থেকে
ছাগলনাইয়া পৌরসভার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বেশী ও জন বহুল এলাকা হিসেবে পরিচিত মটুয়া, পূর্ব ছাগলনাইয়া ও দক্ষিণ যশপুর কলোনী। দেশ স্বাধীনের ৪৬ বছর পেরিয়ে গেলেও আজ এই এলাকার হাজার হাজার অধিবাসী খেটে খাওয়া ও নিম্ন বিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলো জানেনা স্বাস্থ্যসেবা কি। পরিবার পরিকল্পনা কিংবা জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কি তারা তা জানেনা। অল্প বয়সে বসছে বিয়ের পিঁড়িতে। আবার পূর্ণ বয়স্ক হওয়ার আগেই সন্তানের মা হচ্ছে। অনেক সংসারে ৩-৬ জন শিশু। মা সচেতন ও শিক্ষিত না হওয়ায় ওই শিশু জন্মের পর থেকেই অবহেলায় অবজ্ঞায় বেড়ে উঠছে। এখানকার দম্পত্তিদের জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা নেই। ফলে একাধিক সন্তান জন্ম দিচ্ছেন এ এলাকার মায়েরা। এ ব্যাপারে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, পরিবার পরিকল্পনার মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা, বিভিন্ন এনজিওর স্বাস্থ্য সেবিকা ও মাঠ পর্যায়ের সাধারণ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এই সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার বিষয়ে আজও জ্ঞান ধারনা ও সচেতন করতে পারেনি। বিভিন্ন সূত্রে এবং এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মটুয়া, পূর্ব ছাগলনাইয়া ও দক্ষিণ যশপুর কলোনীতে কয়েক হাজার লোকের বসবাস। এদের অধিকাংশই খেটে খাওয়া মজুর। স্বাস্থ্য সেবা ও প্রতিটি ঘরে ঘরে একটি করে মান সম্পন্ন লেপট্রিন সরকারী বা বিদেশী অর্থায়নে যদি দেয়া হয় তাহলে এসমস্যা দূরিভূত হবে। মটুয়া কলোনীর গৃহবধূ রেজিয়া (২৫) জানায়, ১০ বছর পূর্বে তার বিয়ে হয়। বিয়ের ১ বছর পরই জন্ম নেয় প্রথম সন্তান। পর পর আরো ২ সন্তানের মা হন। অল্প বয়সে কেন এত সন্তান? এমন প্রশ্নের জবাবে রেজিয়া বলেন, এখানকার প্রায় সবারই ৩-৬ ড্যা পোলা-মাইয়্যা। পোলা-মাইয়্যা কম জন্ম দিতে অইবো এইড্যাতো আমরা জানিনা। আমাগোরে কেউ কয় নাই। এভাবে পারুল আক্তারের ৭ সন্তান, অেপরদিকে এই ৩টি কলোনীতে ব্র্যাক এনজিওর সেনিটেশন ও মানবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়ন প্রকল্প বিষয়ে যে সমস্ত স্বাস্থ্য কর্মী এই এলাকায় সাধারণ মানুষদের সেবা দেওয়ার কথা সেটা জোরদার না করে শুধু তাদের খাতা পত্রেই লিপিবদ্ধ। হয়তো স্বাস্থ্য সেবার নামে তারা নিজেরাই ফায়দা লুটছে এবং স্বাস্থ্য সেবার কর্মসূচি বিষয়ে সাধারণ মানুষদের সচেতন করার কোন আগ্রহ তাদের নেই শুধু এনজিওর খাতায় এলাকার উন্নয়নের ভুয়া কর্মকান্ড লিপিবদ্ধ করা হয়। ছালগনাইয়া পৌরসভার দক্ষিণ যশপুর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম স্বপন জানান, সরকারের যে পরিমান উদ্যোগ রয়েছে জনসাধারণ পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে যেভাবে সচেতন করে তোলা দরকার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীরা সেভাবে হয়তো দায়িত্ব পালন করছে না। এখানে সেনিটেশন ব্যবস্থাও নাজুক। এ ব্যাপারে ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ তাসলিমা আক্তারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কাগজপত্র দেখে অফিসে এসে এ প্রতিবেদকের সাথে কথা বলবেন বলে জানান। তবে তিনি মোবাইল ফোনে কোন প্রকার তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ