Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

রেমিট্যান্স বাড়াতে তৎপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক

রেমিট্যান্স আহরণকারী শীর্ষ ২০ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক

| প্রকাশের সময় : ২১ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে তৎপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরই অংশ হিসেবে রেমিট্যান্স প্রেরণে সহজকরণ, ব্যয় হ্রাসসহ বিভিন্ন উপায় খুজতে ব্যাংকারদের পরামর্শ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি মাসের শেষ দিকে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠকে চুড়ান্ত সিন্ধান্ত নেয়া হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল রেমিট্যান্স আহরণকারী শীর্ষ ২০ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে এ বিষয়ে বৈঠক করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ জামালের নেতৃত্বে ২০ ব্যাংকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী বলেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ কিভাবে বাড়ানো যায় সেই বিষয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই অংশ হিসেবে রেমিট্যান্স আহরণকারী শীর্ষ ২০ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সংঙ্গে বৈঠক হয়েছে। কিভাবে রেমিট্যান্স বাড়ানো যায় এ বিষয়ে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন পরামর্শও নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে সরকারের দেয়া বিভিন্ন পরামর্শ বিষয়েও আলোচনা করা হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে রেমিট্যান্স আহরণকারী ব্যাংকের এমডিদের নিয়ে বৈঠক হবে। সেখানে রেমিট্যান্স বাড়াতে এ সংক্রান্ত চার্জসহ বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স আহরণ ধারাবাহিকভাবে কমছে। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে দেশের অর্থনীতিতে। তাই রেমিট্যান্স প্রবাহ কমায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক উদ্বিগ্ন।
এর আগে রেমিট্যান্স কমার কারণ জানতে বিভিন্ন দেশে খোঁজ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচ কীভাবে আরও কমানো যায় সে বিষয়েও চিন্তা ভাবনা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্য থেকে প্রবাসী আয় সবচেয়ে বেশি আসছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর অর্থনীতির অবস্থা খুব ভালো নেই। এছাড়া সেসব দেশে মানি লন্ডারিং আইনও কড়াকড়ি। কোনো শ্রমিক যখন দেশে অর্থ পাঠাতে চায় তখন তাদের নিয়োগপত্রসহ অনেক কাগজপত্রই চাওয়া হয়। এসব কারণে অনেকেই বৈধ পথে অর্থ পাঠাতে নিরুৎসাহিত হন। এছাড়া ডলার দাম ওঠানামা তো আছেই। এসব কারণে অনেকে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাঠাচ্ছেন। সেই সঙ্গে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচও কিছুটা বেশি বলে মনে করছেন অনেকে। এসব কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহে গতি অনেকটা শ্লথ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রবাসীরা ১ হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলার সমপরিমাণ মূল্যের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন, যা এর আগের ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ছিল ১ হাজার ৪৯২ কোটি ৬২ লাখ মার্কিন ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছর রেমিট্যান্স কমেছে ২১৬ কোটি ১৭ লাখ ডলার বা ১৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ। আর ৮০ টাকা এক ডলার ধরলে টাকার অংকে রেমিট্যান্স কমেছে ১৭ হাজার ২৯৪ কোটি টাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ