Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বালাগঞ্জে চাচার হামলা-মামলার ভয়ে গ্রামছাড়া ভাতিজারা

| প্রকাশের সময় : ২১ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বালাগঞ্জ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা
বালাগঞ্জে চাচার মিথ্যা মামলা ও হামলার ভয়ে গ্রাম ছাড়া মাদরাসার শিক্ষকসহ ভাতিজারা। মিথ্যা মামলা আর বাদীর হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় আছেন ভাতিজারা। উপজেলার ফাজিলপুর গ্রামের মৃত ফুলরী মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া তার চাচা জিতু মিয়ার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত চাচা একই গ্রামের মৃত আফতাব মিয়া সরপঞ্চের ছেলে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখতে গ্রামে গেলে একাধিক ব্যক্তি মিথ্যা মামলা বলে এ প্রতিবেদকের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন। সরেজমিন ফাজিলপুর গ্রামে গেলে গ্রামের লোকজন জানান, গত জুন মাসের ১৭ তারিখ জিতু মিয়ার জায়গার উপর দিয়ে তার ভাতিজা সোহেল মিয়া বৈদ্যুতের লাইন নিতে চাইলে বাঁধা দেন তিনি। বাঁধা না দেবার অনুরোধ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে জিতু মিয়া দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভাতিজা সোহেল মিয়ার উপর চড়াও হন। তার হামলায় সোহেল মিয়া গুরুতর আহত হন। গ্রামের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে রক্ষা করেন। অন্যদিকে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ গ্রামের পঞ্চায়েতের লোকজন বিষয়টি গ্রাম্য বিচারে মিমাংসা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু জিতু মিয়া গ্রামের কথা না শুনে নানা কল্প কাহিনী তৈরি করে গত জুন মাসের ২২ তারিখ ভাতিজাদের বিরুদ্ধে সিলেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার ৫নং স্বাক্ষী বাহরাইন প্রবাসী নূর উদ্দিন জানান, আমাকে স্বাক্ষী রেখে জিতু মিয়া যে মামলা দায়ের করেছেন, তা সত্য নয়। একই কথা বলেন সাবেক ইউপি সদস্য তাজিম উদ্দিন ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামের সালিশী ব্যক্তিত্ব নেফুর আলী। মামলার বাদী ও অভিযুক্ত জিতু মিয়ার সাথে কথা বলতে চাইলে তার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। সোহেল মিয়াসহ তার ভাইয়েরা বলেন, বিদ্যুতের লাইন টানাতে গেলে আমার চাচা জিতু মিয়া বাঁধা দেন। তিনি একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। আমরা অনুরোধ করলে তিনি তা মেনে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা করেন। এতে আমরা আহত হই। প্রভাবশালী চাচা জিতু মিয়া আমাদের উপর মিথ্যা মামলা দায়ের করেন এবং আমাদেরকে নানাভাবে হুমকিও দিচ্ছেন। আমরা পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি। এ ব্যাপারে পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল মতিন বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত হয়ে আমার স্থানীয় ইউপি সদস্যকে দায়িত্ব দিয়েছি সমাধানের জন্য। মামলার তদন্তকারী এসআই সাদিক মিয়া মামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মামলার অভিযোগ আদালত থেকে এসেছে তদন্ত করে দেয়ার জন্য। তদন্তের কাজ চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ