Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

নারায়ণগঞ্জের অলিগলিতে মাদকের ছড়াছড়ি

মাদক সেবনে জড়িয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরাও

| প্রকাশের সময় : ২১ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে : নগরীর দক্ষিণাঞ্চলের অলিগলিতে মাদকের ছড়াছড়ি। নগরীর টানবাজার, মীনাবাজার, নয়ামাটি, করিম মার্কেট, র‌্যালী বাগান এলাকায় মোড়ে মোড়ে বিক্রি হচ্ছে ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা সহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য। স্থানীয়রা জানায়, বিকেল থেকে সন্ধ্যার পরে এইসব এলাকায় ফেরি করে বিক্রি হয় বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য। এসব এলাকায় কয়েক শ’ খুচরা বিক্রেতা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। তাদের অভিযোগ, সদর মডেল থানার মাত্র এক দেড়শ’ গজের মধ্যে রয়েছে কয়েকটি স্পট। টানবাজারে কয়েকটি স্পটে প্রকাশ্যেই চলে মাদকসেবনও। কিন্তু পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করে। তাদের আরও অভিযোগ, নয়ামাটি করিম মার্কেট এলাকায় সারাদিন পুলিশ প্রহরা থাকলেও তাদের সামনেই চলে মাদক কেনাবেচা। স্থানীয়রা জানায়, নয়ামাটি এলাকায় গণবিদ্যা নিকেতন স্কুল এলাকায় একটি শক্তিশালী মাদকের সিন্ডিকেট রয়েছে। নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরাও মাদক সেবনের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। অভিভাবক ও স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেও কোন ব্যবস্থা নিতে পারছে না। চক্রটি একজন প্রভাবশালীর লোকজন হওয়ায় কেউ টু শব্দও করতে পারে না।
সূত্র আরও জানায়, টানবাজার রেলিবাগান এলাকায় দেশী মদের পাশাপাশি ইয়াবা-ফেনসিডিল, গাঁজা সহ অন্যান্য মাদকদ্রব্যের কেনাবেচাই নয়, প্রকাশ্যে চলে সেবনও। সূত্রমতে, নয়ামাটি থেকে গণবিদ্যা পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার সড়কটি মাদক চালানের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সূত্রের অভিযোগ, করিম মার্কেট এলাকায় প্রায় সারাদিন পুলিশ প্রহরা থাকলেও সারাদিনই তারা ‘বখরা’ আদায় ও পার্কিং করা গাড়ি থেকে চাঁদা উঠানোতে ব্যস্ত থাকে। এমনকি সন্ধ্যার পরে ওই এলাকায় চলাফেরা করা সাধারণ মানুষকে হয়রানী করে। তাদেরকে জিম্মি করে ‘টু পাইস’ কামাতে দেখা যায়। কিন্তু তাদের চোখের সামনে মাদকদ্রব্য কেনাবেচা হলেও সেদিকে চোখ দেন না। তাদের সাথে মাদক বিক্রেতাদের সখ্যতা ও মাসহার সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার কর্মকর্তাগন বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স। তবে এসব অভিযোগ সর্ম্পকে অবশ্যই খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি গণবিদ্যা স্কুলের সামনে কারা কারা মাদকদ্রব্য বিক্রি করে তাদের নাম ঠিকানা দিয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে এ ধরনের কার্যকলাপ মেনে নেয়া যায় না।তবে পুলিশের এই বক্তব্যে এলাকাবাসী জানিয়েছেন পুলিশ খুব ভাল জানে কারা মাদকদ্রব্য আমদানি ও বিক্রিকরে।তারা জানান মাদক নিয়ন্ত্রনে পুলিশ বড় বড় কথা বললেও তাদের ভ‚মিকা রহস্যজনক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ