পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রকল্পের কাজে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপচয় বরদাশত করা হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রকল্পে কোন অনিয়ম-দুর্নীতি হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। বরাদ্দ অর্থের পরিপূর্ণ ব্যবহার করতে হবে। এক টাকা দিয়ে দুই টাকার কাজ করার মানসিকতা সৃষ্টি করতে হবে। কারণ বাজেটে বরাদ্দ দেয়া টাকা জনগণের টাকা, গরিব মানুষের টাকা। গতকাল (বুধবার) শিক্ষাভবনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)-এর আওতাধীন ১৩টি প্রকল্প ও প্রোগ্রামের প্রকল্প কর্মকর্তাদের সাথে অধিদপ্তরের সভাকক্ষে এক দিক নির্দেশনামূলক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাখাতে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন। আমাদের প্রকল্পগুলোর সাফল্যের উপরই নির্ভর করে দেশের উন্নতি। প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। তিনি বলেন, অর্থ আমাদের সীমিত। কিন্তু ব্যয় করার সময় মনে রাখতে হবে, টাকাটি জনগণের। এই সীমিত অর্থ সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। কোনভাবেই এই সীমিত সম্পদের অপচয় করা যাবে না। আমাদের লক্ষ্য অর্জনে এ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
নাহিদ বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা বছরের শুরুতেই গ্রহণ করতে হবে। কি কি কাজ করা হবে, তার একটি পরিস্কার ধারণা প্রকল্প পরিচালকদের মাথায় থাকতে হবে। বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যে ত্রæটি ও দুর্বলতা রয়েছে তা পূর্ব-অভিজ্ঞতার আলোকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। এবার যাতে কোন ভুল না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার জন্য বর্তমান বাজেেেটর উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যথাসময়ে শেষ করতে তিনি গুরুত্বারোপ করেন। পরিকল্পনা ও লক্ষ্য বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দৃঢ় সংকল্প রাখার জন্যও তিনি প্রকল্প পরিচালকদের তাগিদ দেন। সভায় জানানো হয়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প বাস্তবায়নের হার ছিল শতকরা ৯৩ দশমিক ১২ ভাগ। এসময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিগত ৮ অর্থবছরে প্রকল্প বাস্তবায়নের এ হার শতকরা ৯৯ ভাগের বেশি ছিল। ভবিষ্যতে যাতে এ ব্যাপারে কোন ব্যর্থতা না আসে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে বলেন তিনি। সমস্যা ও ব্যর্থতাগুলি চিহ্নিত করে তা সমাধানের ব্যবস্থা নিতে হবে। মন্ত্রী প্রত্যেক প্রকল্পের কাজ আলাদা আলাদা ভাবে মূল্যায়নের নির্দেশ দেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কর্মকর্তাদের দক্ষতা আরো বাড়াতে হবে এবং এই দক্ষতা কাজে লাগাতে হবে। কাজে উদ্যোগী, সৃজনশীল হতে হবে। নতুন চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গি কাজে লাগাতে হবে। তবে কেউ ইচ্ছাকৃত ভুল করলে ছাড় পাবেন না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মহিউদ্দিন খান বক্তৃতা করেন। অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত প্রকল্পসমূহের অর্জন, চ্যালেঞ্জ ও বাস্তবায়ন কৌশল বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন মাউশি’র পরিচালক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন। এর আগে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের নতুন ২০ তলা ভবন নির্মানের লক্ষ্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সাথে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।