বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জনদুর্ভোগ চরমে
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামে পুলিশী অভিযানের মুখে গণপরিবহন উধাও হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে নগরবাসী। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও কর্মজীবীদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। পরিবহন সংকটকে পুঁজি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। যানবাহনের অনিয়ম বন্ধে গতকাল (বুধবার) বিকেল পর্যন্ত চব্বিশ ঘণ্টায় ১৩৮৮টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ২৬২টি। এসব যানবাহনের বেশির ভাগই গণপরিবহন।
ইন্স্যুরেন্স, রুট পারমিট, ফিটনেস সনদ যাছাই ও চালক এবং যানবাহনের ভূয়া লাইসেন্স পরীক্ষার জন্য মঙ্গলবার থেকে টানা পাঁচদিনব্যাপী অভিযান শুরু করে নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। অভিযান শুরু হতেই রাস্তা থেকে পালিয়ে যায় বেশিরভাগ গণপরিবহন। কারণ ট্রাফিক বিভাগের হিসাবে নগরীতে চলাচলকারী ৭০ ভাগ যানবাহনের ফিটনেস সনদ নেই। চালকদের বেশির ভাগেরই ড্রাইভিং লাইসেন্স জাল।
গতকালও সকাল থেকে অভিযান শুরুর পর রাস্তায় সব ধরনের গণপরিবহনের সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে কমে যায়। যানবাহন সংকটে সকাল থেকেই যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন। বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও অফিসফেরত যাত্রীদেরকে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়। নগরীর বিভিন্ন মোড়ে বৃষ্টিতে ভিজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও গণপরিবহনে উঠার সুযোগ হয়নি অনেকের। এই সুযোগে রিকশা আর অটোরিকশার ভাড়াও ভেড়ে গেছে। নগরীতে হাতেগোনা কিছু বাস ও মিনিবাস চলাচল করলেও তাতে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হয়েছে। নগরীতে বাস ও মিনিবাসের সর্বনিম্ন ভাড়া ৫ টাকা। অথচ গতকাল বেশির ভাগ গণপরিবহনে এভাড়া দ্বিগুণ অর্থাৎ দশ টাকা আদায় করা হয়েছে।
উপ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) মো. সুজায়েত ইসলাম জানান, রুট পারমিটবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধে ট্রাফিক বিভাগ কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এছাড়া মোড়ে মোড়ে এবং যত্রতত্র গাড়ি দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করানো, নির্ধারিত রুট অমান্য করা, ভুয়া লাইসেন্স কিংবা লাইসেন্সবিহীন গাড়ি চালানোসহ নানা অনিয়ম বন্ধে ২২ জুলাই পর্যন্ত নগরীতে অভিযান চলবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।