Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলা, অষ্টমবারের মতো পেছাল অভিযোগ গঠনের শুনানি

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ জুলাই, ২০১৭, ৩:৪৯ পিএম

টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি অষ্টমবারের মতো পিছিয়েছে।

মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাংসদ আমানুর রহমান খানকে (রানা) আদালতে হাজির না করায় আজ বুধবার অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়নি। এর আগে সাতবার আমানুরকে হাজির না করায় মামলার অভিযোগ গঠন পিছিয়ে যায়।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মনিরুল ইসলাম খান জানান, টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১-এর বিচারক আবুল মনসুর মিয়ার আদালতে আজ অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আদালতকে জানানো হয়, সাংসদ আমানুর পাইলসে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁকে কারাগার থেকে আদালতে নেওয়ার মতো অবস্থা নেই বলে কারাগার চিকিৎসক জানিয়েছেন। তাই তাঁকে হাজির করা যায়নি। পরে আদালত অভিযোগ গঠনের জন্য আগামী ৬ সেপ্টেম্বর নতুন তারিখ দিয়েছেন।

আজ আদালতে বাদীপক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আইনজীবী জোয়াহেরুল ইসলাম এবং আইনবিষয়ক সম্পাদক এস আকবর খান শুনানিতে অংশ নেন।
পরে আইনজীবী এস আকবর খান বলেন, আসামি আমানুরকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে আগামী ধার্য তারিখে হাজির করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর সাংসদ আমানুর গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে আছেন। এর আগে উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে বেশ কয়েক দফা আবেদন করেও জামিন পাননি তিনি।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ টাঙ্গাইলে তাঁর কলেজপাড়া এলাকায় বাসার সামনে পাওয়া যায়। ঘটনার তিন দিন পর তাঁর স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।

প্রথমে থানা-পুলিশ ও পরে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মামলার তদন্ত করে। ২০১৪ সালের আগস্টে এই মামলায় আনিসুল ইসলাম ওরফে রাজা ও মোহাম্মদ আলী গ্রেপ্তার হন। আদালতে তাঁদের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে এই হত্যায় সাংসদ আমানুর ও তাঁর তিন ভাইয়ের জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। এরপর আমানুর ও তাঁর ভাইয়েরা আত্মগোপনে চলে যান।

গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি আমানুর, তাঁর তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সানিয়াত খানসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। আমানুরের তিন ভাই পলাতক রয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ