পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শিক্ষার্থীদের কাছে আতঙ্কের নাম : অর্থ ও আধিপত্য বিস্তারে বাড়ছে সংঘর্ষ : আট বছরে নিহত ১২৫ : সম্পদের পাহাড় গড়ছে নেতারা
স্টাফ রিপোর্টার : ‘শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি’ ছাত্রলীগের মূলনীতি হলেও শিক্ষাঙ্গনে অশান্তি সৃষ্টির জন্যই সংগঠনটি সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছে। গত কয়েক বছরে নেতাকর্মীদের অভ্যন্তরীন দ্ব›দ্ব, প্রতিপক্ষের ওপর হামলা, সংঘর্ষ, গোলাগুলি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, অস্ত্র প্রদর্শন, দখল-বাণিজ্যের সঙ্গে কিছু সংখ্যক নেতাকর্মী জড়িয়ে পড়ায় বরাবরই শিরোনামে উঠে এসেছে সংগঠনটির নাম। প্রতিষ্ঠাকালীন এবং রাজনৈতিক লক্ষ্য উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে কেবল অর্থ এবং প্রভাবের পেছনেই ছুটছেন নেতাকর্মীরা। গঠনতন্ত্রের লঙ্ঘন, সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ প্রভাবশালী নেতাদের অর্থের পাহাড়, বিলাসবহুল জীবন যাপন, কেন্দ্রীয় নেতাদের অসন্তোষ, দেশব্যাপী কর্মীদের নানা অপকর্ম, গণহারে পদ প্রদান, অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে নিজেদের মধ্যেই সঙ্ঘাত সৃষ্টি হয়েছে সংগঠনটিতে। এসব নিয়ে নিত্য দিনই ঘটছে সংঘর্ষের ঘটনা। প্রাণ হারাচ্ছে অনেক নিরীহ কর্মী। নেতাকর্মীদের বেসামাল কর্মকান্ডে নাকাল হয়ে পড়ছে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ও মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনটি। অথচ ’৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ’৬২ শিক্ষা আন্দোলন,’৬৯ গণঅভ্যুত্থান এমনকি ’৯০ আন্দোলনের সংগঠনটি অসামান্য অবদান রেখে উজ্জ্বল্য ছড়িয়েছে। ছাত্রলীগের বর্তমানের কর্মকান্ডের কারণে শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজ থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাও তাদের সমালোচনা করেছে। তাদের কর্মকান্ডে ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে ২০০৯ সালের ৩ এপ্রিল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপরও যেনো কোনভাবেই থামানো যাচ্ছে না ছাত্রলীগকে। কিছুদিন পরপরই সংঘর্ষ আর শিক্ষার্থী-নেতাকর্মী খুনের ঘটনা ঘটছে। তারা নিজেরাই খুনাখুনি করছে। বর্তমান সরকারের মেয়াদ কালেই পাঁচ শতাধিকেরও বেশি সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগ। প্রতিপক্ষ বিএনপি সমর্থিত ছাত্রদল ও জামায়াত সমর্থিত ইসলামী ছাত্রশিবির মাঠে না থাকায় এসব সংঘর্ষের বেশিরভাগই ঘটেছে নিজেদের মধ্যে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, নেতাকর্মীদের আদেশ-নির্দেশ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে অনেক জায়গায় কমিটি বিলুপ্ত করতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানও বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এতে একদিকে যেমন নষ্ট হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ, অন্যদিকে সেশনজটসহ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে পড়তে আসা সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
প্রকাশিত খবর অনুযায়ি, ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর গত ৮ বছরেই অভ্যন্তরীণ ও প্রতিপক্ষের সাথে সংঘর্ষে ১২৫ জন নিহত হয়েছে। গত সোমবার সিলেটের বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের কর্মী খালেদ আহমদ লিটুসহ নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে অন্তত ৬০ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। ছাত্রলীগের হাতে নিহত হয়েছেন প্রতিপক্ষের ১১ জন নেতাকর্মী এবং সাধারণ শিশু ও মানুষ নিহত হয়েছে ৫৪ জন। গত এক বছরেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিজেদের মধ্যে দুই শতাধিক সংঘর্ষ ও হামলা-পাল্টা হামলা হয়েছে। এতে ১২ নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন পাঁচ শতাধিক। প্রতিপক্ষ দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চলছে অহরহ। অতিস¤প্রতি সংগঠনটির কোন্দল ও সংঘাত বেড়েছে কয়েকগুণ। এক সময় ছাত্রলীগকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা ভরসাস্থল মনে করতো; এখন ছাত্রলীগ নাম শুনলেই আতকে উঠে। ছাত্রলীগ মানেই যেন বিভীষিকার নাম।
সর্বশেষ গত সোমবার সিলেটের বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত হন ছাত্রলীগের কর্মী খালেদ আহমদ লিটু। ১৬ জুলাই লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে স্বামীকে আটকে রেখে তাঁর নববধূকে ধর্ষণ করে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন হোসেন মোল্লা। এদিকে গত সোমবার সকালে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু আবাসিক হলে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা হলের দুটি কক্ষে ভাঙচুর চালিয়েছেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। একইদিন দুপুরে রাজশাহী নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজে ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ পাঁচজন আহত হয়েছে। টেন্টে বসাকে কেন্দ্র করে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম বাপ্পি ও সাধারণ সম্পাদক বাইতুল হোসেন তরুর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গত রোববার দরপত্র জমা দেয়াকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে দুই দফা হামলায় আহত হয়েছেন ১০ জন। ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত ছাত্রলীগ কর্মী শান্ত। বৃহস্পতিবার এমসি কলেজের হোস্টেলে ভাঙচুর করে ছাত্রলীগের দুগ্রæপ। আগ্নেয়াস্ত্র, চাইনিজ কুড়াল, রড, দা, হকিস্টিকসহ ছাত্রাবাসের ৪ ও ৫নং বøক এবং শ্রীকান্ত বøকে ভাঙচুর চালানো হয়। গত জুনে শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রæপে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ১১ ফেব্রæয়ারি চট্টগ্রাম নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায় ইয়াবা ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত হয় ইয়াসির আরাফাত নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী। ওইদিন রাতেই যশোরের শার্শায় ছাত্রলীগের দু› পক্ষের সংঘর্ষে, উলাসী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বিপ্লব হোসেন নিহত হন।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত আট বছরে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে নিহত হয়েছেন ৬০ জন। ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছর জুলাই পর্যন্ত এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় বন্ধ হয়ে যায় অর্ধশতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গত এক বছরেই দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দুই শতাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়েছে। এসব সংঘর্ষে লিটু, আরাফাত বিপ্লব হোসেন ছাড়াও গত ৩১ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে খালেদ সাইফুল্লাহ, ২৭ মে বরিশালে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে নিহত হন পলিটেকনিক ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম, ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ’র ছাত্র সোহেল আহমেদ, ২১ মার্চ নোয়াখালীর সরকারি কলেজ এলাকায় ফজলে রাব্বী রাজীব ও সাইফুল ইসলাম ওয়াসিম নিহত হন, ২০ মার্চ ছাত্রলীগের বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার মশাজান-নোয়াবাদের গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে তাসপিয়া প্রমি নামের পাঁচ মাসের এক শিশু নিহত হয়। ১৯ জানুয়ারি সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন ছাত্রলীগ কর্মী কাজী হাবিবুর রহমান। গত বছরের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনার একটি ছিল সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রী খাদিজাকে ছাত্রলীগ নেতা বদরুলের প্রকাশে কুপিয়ে আহত করা। আর এই আট বছরের মধ্যে দেশজুড়ে সমালোচিত ঘটনাটি ঘটেছে ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর। সেদিন বিরোধী দলের অবরোধ প্রতিরোধের নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের পাশে দর্জি দোকানের কর্মচারী বিশ্বজিৎ দাসকে কুপিয়ে হত্যা করে।
এছাড়া সশস্ত্র সংঘর্ষ, পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশের সামনে প্রতিপক্ষ ছাত্র সংগঠনের ওপর হামলা, রেলস্টেশন ভাংচুর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হলের কক্ষ ভাঙচুরসহ নানা ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রলীগের সংঘর্ষে বন্ধ করে দেয়া হয় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন: ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কমিটি দুই বছর মেয়াদে কার্যকর থাকে। কিন্তু বিগত কয়েকটি কমিটিই গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে থেকেছে দ্বিগুণ সময়। এই কমিটিও তার ব্যতিক্রম নয়। বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ এই মাসের ২৬ তারিখ শেষ হচ্ছে গঠনতন্ত্র অনুযায়ি। অথচ সংগঠনটির ১১০টি জেলা ইউনিটের মধ্যে এই কমিটি আসার পর নতুন করে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে ৪০টি। হিসেব মতে এখনো ৭০ টি সাংগঠনিক জেলা কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। এই স¦ল্প সময়ের মধ্যে এইসব জেলা কমিটির কাউন্সিল করে কমিটি প্রদান ও সম্ভব নয় বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় কমিটির অনেক নেতা। ফলে কেন্দ্রীয় কমিটির অধিকাংশ নেতাই মনে করছেন বর্তমান কমিটিও অন্যান্য কমিটির মতো আরো দুই বছর মেয়াদে দায়িত্ব পালন করতে পারে। ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতা ও কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সাথে কথা বলেও মিলেছে এমনই ঈঙ্গিত।
এছাড়াও বর্তমান কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার সময়ও বিতর্কিত হয় বিভিন্ন সময় বহিষ্কৃত নারী, মাদক ও অপহরণের সাথে যুক্তদের পদ দেয়ার কারণে। অনেক কেন্দ্রীয় নেতা অভিযোগ করেন, কমিটিতে তাদের মূল্যায়ন হয়না এবং সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক তাদের পছন্দমতো লোকদের তাদের সাথে রাখেন। বিভিন্ন কমিটিতে তারা (সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক) অঞ্চল ভিত্তিক পদ প্রদানে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন বলেও অভিযোগ করেন তারা। গঠনতন্ত্র অনুসারে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ ৩০১ সদস্য নিয়ে গঠিত হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে এই সংখ্যা প্রায় ৪৫৪ ছাড়িয়েছে।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নেই ছাত্রলীগ: বর্তমান কমিটি গত দুই বছরে শিক্ষার্থীদের অধিকার কিংবা শিক্ষাবান্ধব কোনো কর্মসূচিও হতে নেয়নি। জাতীয় দিবসগুলোতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন ছাড়া তেমন কোনো কাজ থাকে না নেতাকর্মীদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর দিয়ে মেট্রো রেল স্থাপনা, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রী তনু হত্যা, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাট প্রত্যাহার আন্দোলন ও সাম্প্রতিক সড়ক দূর্ঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র নিহত হওয়া নিয়ে সাধারণ ছাত্রদের আন্দোলনের সাথে একাত্ম হয়ে কোন কর্মসূচি ঘোষণা করেনি ছাত্রলীগ।
সংগঠনে বিশৃঙ্খলা: সাম্প্রতিক সময়ে সাংগঠনিকভাবে কিছুটা বিশৃঙ্খল ও হয়ে উঠেছে ছাত্রলীগ। এই বছরের পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ছাত্রলীগের নেতাদের উদ্দেশ্যে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর দাওয়াত কার্ড পাওয়া যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের রান্নাঘরে যা নির্ধারিত সময়ে পৌছে দেয়া হয়নি প্রত্যেকের হাতে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় উঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংগঠনের অভ্যন্তরে। এছাড়াও গেল কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভায় উঠে আসে সংগঠনটির নেতাদের মাঝে অন্তর্কোন্দলের বিষয়টিও। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কমিটিতে নিজ নিজ এলাকার ব্যক্তিদের পদ প্রদান সহ তাদের বিলাসী জীবন যাপন এবং বিভিন্ন টেন্ডার থেকে চাঁদা আদায় ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রাপ্ত টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে তুমুল তর্ক বিতর্ক হয় ঐ সভায়।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ইনকিলাবকে বলেন, নেত্রী যেদিন বলবেন সেদিন মেয়াদ শেষ হবে। আর ছাত্রলীগ তার ঐতিহ্য অনুযায়ী চলবে। এছাড়া কিছু কিছু বহিরাগত ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য সংঘর্ষের ঘটনা ঘটায়। তারা চায় আমাদের বিতর্কিত করতে। মূলত এ ধরণের সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতরা কেউ ছাত্রলীগ করে না। এরা বহিরাগত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।